পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(t S R ংশ-পরিচয় যদুবীরের অপর পুত্র শিবকৃষ্ণ চৌধুরী যথেষ্ট প্রতিষ্ঠাবান এবং সমৃদ্ধিশালী হইয়াছিলেন। কুশীনামাতে দেখা যায় যে, এই শিবকৃষ্ণই প্ৰথম চৌধুরী উপাধি গ্ৰহণ করেন। তঁহার ৫ম পুত্র হরেরাম চৌধুরীও পিতার যশঃ ও খ্যা ত অক্ষুন্ন রা, খয়াছিলেন। হারেরামের পুত্ৰ শস্তৃরাম চৌধুরী। এই শস্তৃরামের সময় হইতেই ইহাদের প্ৰাচীন সমৃদ্ধি ক্ৰমেই ক্ষীণতর হইতে থাকে ; ইনি। ষথেষ্ট সম্পত্তি ধ্বংশ করিয়া যান। শঙ্কুরামের পুত্র রামলোচন চৌধুরী। রামলোচনের দুই পুত্র, রামকুমার ও রামজয় । রামকুমার চৌধুরী খুব বলবান বলিয়া বিখ্যাত ছিলেন , রামকুমারের তিন পুত্ৰ-রামানন্দ, রামতনু ও রামেন্দ্ৰ। সৰ্বকনিষ্ঠ রামেন্দ্ৰ অল্প বয়সে নিঃসন্তান পরলোক গমন করেন। রামানন্দ ও রামতনু উভয়েই প্ৰতিভাশালী ছিলেন এবং প্ৰতিষ্ঠাবান হইয়াছিলেন । ৬/ রামানন্দ চৌধুরী মহাশয় বাঙ্গালা সন ১৩০৬ সালে ২৮শে পৌষ তারিখে প্ৰায় ৬৫ বৎসর বয়সে ইনি দুরন্ত ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হইয়া পরলোক গমন করেন। ইনি ঐ অঞ্চলের একজন প্ৰসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন। জমিদারী কাৰ্য্য-পরিচালনায় তাহার যথেষ্ট প্রতিভা ছিল। উত্তর বঙ্গে অনেক জমিদারী এষ্টেটের কাৰ্য্যক্ষেত্রে তাহার প্রতিভার পরিচয় এখনও আছে। তিনি উর্দু এবং পারসী বেশ জানিতেন এবং বাঙ্গালা সাহিত্যের অকৃত্ৰিম ভক্ত ছিলেন । বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম যুগের বঙ্গদর্শনের একজন অনুরক্ত গ্ৰাহক ছিলেন। সেই কালে যখন উত্তর বঙ্গ রেল লাইন সম্পূর্ণ হয় নাই তখনও নানা রকম অসুবিধা স্বীকার করিয়া তিনি সাহিত্য-সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের সহিত সাক্ষাৎ করিতে নৈহাটী-কঁটালপাড়া আসিতেন । ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর, ডাক্তার