পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহালার রায়-বংশ G ভারতের জনসাধারণকে মোটামুটি দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে ; প্রথম-কৃষক শ্রেণী ; দ্বিতীয়-শ্রমিক সম্প্রদায়। শিক্ষা দ্বারাই মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি বিকশিত ও পুষ্ট হয় ; শিক্ষা পাইলে মানুষের অভ্যাস সুনিয়ন্ত্রিত হয়। এই দুইটী গুণই কৃষক ও শ্রমিকের ভবিষ্যৎ জীবনের যে প্রভূত উন্নতিকারক সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। শিক্ষা যতই প্ৰাথমিক হউক-লেখাপড়া ও সাধারণ পাটীগণিত ও শুভঙ্করী জনসাধারণকে শিখাইলে উহা যে কেবল তাহাদিগকে প্ৰভূত সাহায্য করিবে তাঁহা নহে, অদূর ভবিষ্যতে এদেশের কৃষিজীবী ও শিল্পীরা বৈদেশিক প্ৰতিযোগিতাকে পরাহত করিয়া কৃষি ও শিল্পের উন্নতি সাধন করিতে পরিবে । জন্মণী ও ফুন্সে শিক্ষা-বিশেষতঃ প্ৰাথমিক শিক্ষা প্ৰভূত উন্নতি লাভ করিয়াছে। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে প্ৰাথমিক শিক্ষা জৰ্ম্মণীর কোনও কোনও ক্ষুদ্র রাজ্যে বাধ্যতামূলক করা হইয়াছিল। ৬ হইতে ১২ বৎসর বয়স্ক বালক বালিকাকে ফসল কাটিবার সময় ব্যতীত বৎসরের সমস্ত সময়ই বাধ্যতামূলক প্ৰাথমিক শিক্ষালয়গুলিতে হাজিরা দিতে হইত। প্ৰথম প্রথম বাধ্যতামূলক প্ৰাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় খুবই বাধা পড়িয়াছিল। অভিভাবকের দারিদ্র্য ও আত্মম্ভরিতার জন্য এইরূপ বাধা দিয়াছিলেন । বাধ্যতামূলক প্ৰাথমিক শিক্ষা প্ৰবৰ্ত্তনের প্রারম্ভে বিদ্যালয়সমূহে ছাত্র-সংখ্যা অত্যধিক হইবার জন্য ও শিক্ষকগণের শিক্ষাদান-ক্ষমতার অল্পতার জন্য উহাতে বাধা । ঘটয়াছিল। সরকারী স্কুল ব্যতীত বহুসংখ্যক বে-সরকারী স্কুলও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ইহাতে বুঝা যায় যে, বাধ্যতামূলক প্ৰাথমিক শিক্ষার জন্য তখন লোকের মনে বিশেষ আগ্ৰহ জন্মিয়াছিল। যদিও এই শতাব্দীর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি বিদ্যালয়-নামের যোগ্য ছিল না, তথাপি ছাত্রগণকে যে বাধ্য হইয়া উপস্থিত হইতে হইত-এই সুনিয়মিত