পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-¢bፖ বংশ-পরিচয় লোক্যাল বোর্ড ও মিউনিসিপ্যালিটী যে টাকা খরচ করেন, তাহা ভারতের সকল প্রদেশেই খুবই সামান্য । এক শ্রেণীর সমালোচক আছেন। তঁহাদের ধারণা মৰ্ম্মীর-প্ৰাসাদ, সেগুন কাঠের চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চি, আধুনিক উৎকৃষ্ট মূল্যবান পুস্তক-সমন্বিত লাইব্রেরী এবং স্মিথ প্ৰাইজ-ধারী শিক্ষক ব্যতীত প্ৰাথমিক শিক্ষা প্ৰচলিত হইতে পারে না । ইহারা ভুলিয়া যান যে, যে শ্রেণীর ছাত্ৰ প্ৰাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পড়িতে আসিবে তাহারা মৃৎ কুটীরে থাকে । ইহাদের জন্য যদি আটচালাতে প্ৰাথমিক বিদ্যালয় বসান হয়, তাহা হইলে ইহাদের অসন্ত্রম হইবে না। বাড়ীতে ইহারা মাদুরে বসে, মাদুরেই শয়ন করে ; সুতরাং বিদ্যালয়ে যদি ইহারা মাদুরে বসে, তাহা হইলে তাহদের মানের হানি হইবে না । বৰ্ত্তমান প্ৰাথমিক বিদ্যালয়সমূহে যে সকল প্ৰাচীন গুরুমহাশয় ও শিক্ষকগণ শিক্ষা দিতেন। তঁহাদের দ্বারাই প্ৰাথমিক শিক্ষা দেওয়া হইতে পরিবে । আমরা অতিব্যয়মূলক বোর্ড-স্কুল চাই না। দরিদ্র দেশের বালকগণের জন্য যত অল্প ব্যয়ে ও সহজে স্কুলের সাজ-সজ্জা ও গৃহ হইতে পারে, তাহাই হউক। এই ভারতবর্ষ অতি প্ৰাচীন কাল হইতে শিক্ষাদানের কেন্দ্ৰ বলিয়া পরিচিত। প্ৰাচীন যুগের ঋষিরা প্ৰাসাদে বসিয়া শিক্ষা দিতেন না। ন্যায়, সাংখ্য ও পাতঞ্জল মূৎকুটীরে মাটির মেঝেতেই শিক্ষা দেওয়া হইত। বিদ্যালয়ের গৃহ ও সাজ-সজ্জা BD0 D DB BEDBDB BBDDS B S BDDDBDB DDD আমাদের পূর্বপুরুষদের কোনও বাধাই ঘটে নাই। এদেশের সর্বত্র এক্ষণে মিউনিসিপ্যালিটির এলেকায় ও পল্লীগ্রামসমূহে প্ৰাথমিক বিদ্যালয়গুলি বিস্তৃত হইয়া রহিয়াছে। প্ৰত্যেক জেলা-বোর্ডে একটি করিয়া এডুকেশন কমিটি আছে। এই প্ৰস্তাবিত প্ৰাথমিক শিক্ষার আইনটি পাশ হইলে এই শ্রেণীৱ প্ৰাথমিক বিদ্যালয়গুলির সংখ্যা বৃদ্ধি পাইবে