পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V9 o द१* -পরি 5弧 প্ৰাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা হইয়াছে ; কেবল সরকারী সাহায্যপ্ৰাপ্ত গ্ৰাম্য স্কুল-সমূহে গ্রামবাসীদের নিকট হইতে সামান্য চাঁদা লইয়া প্ৰাথমিক শিক্ষা-দানের ব্যবস্থা হইয়াছে। অনেকে বলেন,-বঙ্গীয় প্ৰাথমিক শিক্ষা আইনটী পাশ করাইয়া লওয়া স্বৰ্গীয় সুরেন্দ্রনাথ রায় মহাশয়ের মহতী কীত্তি । ১৯১৮ খৃষ্টাব্দে সুরেন্দ্ৰবাবু বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় নিম্নলিখিত প্ৰস্তাব পেশ করেন :- ভারত গবমেণ্টকে অনুরোধ করিবার জন্য এই ব্যবস্থাপক সভা স-পরিষদ গবৰ্ণর বাহাদুরকে সুপারিশ করিতেছেন যে - ( ১ ) বাঙ্গালা দেশে যাহাতে লবণ প্ৰস্তুত হয় সে পক্ষে উৎসাহ দিবার ব্যবস্তা করা হউক এবং ( ) লোকে নিজেদের ব্যবহারের জন্য যে লবণ তৈয়ারী করিবে তাহার উপর যেন শুল্ক গ্ৰহণ করা না হয় । এই প্রস্তাব উত্থাপন-পসঙ্গে তিনি যুক্তি-তর্কপূর্ণ এক সুদীর্ঘ বক্তৃতা করেন। নিম্নে আমরা উহার মৰ্ম্ম প্ৰদান করিলাম :- লবণ একটি অপরিহার্য্য আহাৰ্য্য সামগ্ৰী । সম্প্রতি এ* লবণের মূল্য অতিরিক্ত রূপ বৃদ্ধি পাইয়াছে এবং তাহার ফলে গত দুই মাস ধরিয়া বাঙ্গালা দেশের কয়েকটি জেলায় চাট-বাজার লুঠ হইতে আরম্ভ হইয়াছে ; এমন কি এখনও হইতেছে। ১৯১৭ খৃষ্টাব্দের ২৭শে নভেম্বর হইতে ১৯১৮ খৃষ্টাব্দের ৮ই জানুয়ারী পৰ্য্যন্ত ৪৯টি ঠাট লুঠের সংবাদ আমরা পাইয়াছি। যে প্রদেশের লোক স্বভাবতঃ শান্তিপ্রিয় এবং বিপি-ব্যবস্থার সম্মানকারী, তাহারা হঠাৎ এরূপ লুণ্ঠনপ্রিয় হইয়া উঠিল কেন ? ইহাতে বুঝা যাইতেছে যে, এদেশের জনসাধারণ অত্যন্ত দরিদ্র । বাজারে এখন লবণের মূল্য অসম্ভবরূপে বৃদ্ধি পাইয়াছে। এত চড়া দামে তাহারা লবণ ক্রয় করিতে অসমর্থ। এইজন্য তাহার হাট-বাজার লুঠ করিয়া