পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 si-stfits: সাহায্য করেন, অথবা চিনি-শিল্পের প্রসারের জন্য জৰ্ম্মণী চিনিওয়ালাদিগকে যে ভাবে অর্থসাহায্য করেন। সেইরূপ অর্থসাহায্য লবণতৈয়ারকারী দিগকে করিতে আমরা বাঙ্গালী সরকারকে বলিতেছি না । আমাদের অনুরোধ, সরকার লবণ তৈয়ারীর অবাধ অধিকার বাঙ্গালা দেশের অধিবাসী দিগকে দিউন এবং যাহারা নিজেদের সংসাবের প্রয়োজন অনুযায়ী লবণ তৈয়ারী করিবে তাহাদিগকে যেন শুল্ক দিতে না হয় । অ্যাডাম স্মিথ হঈতে আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ একবাক্যে বলিয়া আসিতেছেন যে, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যাদির উপর কর পাৰ্য্য বা শুল্ক ধাৰ্য্য করা উচিত নহে ; ইহা নিন্দনীয় ব্যাপার । অধ্যাপক ফকেট বলিয়াছেন যে, পানীয় জল ও নিঃশ্বাস-প্ৰশ্বাসে গৃহীত বায়ুর মত লবণ ও লোকের অবাধ অধিকারভুক্ত হওয়া উচিত । আয়ল সে গুর লোকের নিকট অ্যালু যেরূপ, ইংরেজ ও স্কচদিগের নিকট মাংস ও চা যে রূপ, বাঙ্গাল। দেশের অধিবাসীদের নিকট লবণ তদপেক্ষা অধিক । এদেশের অধিকাংশ লোকই কৃষক ; ভাতের সহিত একটু লবণ ইহাই এ দেশের কৃষকের প্রধান ও প্রাত্যহিক খাদ্য । লবণের শুল্ক বন্ধ করিয়া দিলে লবণের ব্যবহারও যে বৃদ্ধি পায় ইহা গবমেণ্ট লক্ষ্য করিয়াছেন । লবণ যে কেবল মানুষেরই অপরিহার্য্য খাদ্য তাঁহা নহে, গোমহিষাদিরও ইহা অন্যতম খাদ্য । ইদানীং গো-মহিষাদির স্বাস্থ্য যে ক্ৰমেই অবনতির দিকে চলিয়াছে, ইহার কারণ পৰ্য্যাপ্ত লবণ উহাদিগকে খাইতে দিতে পারা যায় না । সুতরাং এই দুর্দিনে গবমেণ্টের উচিত বাঙ্গালার অধিবাসী দিগকে লবণ তৈয়ারী কিরিবার অবাধ অধিকার প্রদান করা ও যাহারা নিজ নিজ পরিবারের আহারের জন্য লবণ তৈয়ারী করিবে, তাহাদিগের নিকট ー5sig C卒ーく3 種* ●零 st府t類さt マエ||