পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায় রাধাকাস্ত আইচ রায় বাহাদুর GnQG? অগ্ৰণী হইয়া রহিয়াছেন। তিনি বহুদিন ধরিয়া উকীল-সভার প্রেসিডেন্ট বা অধিনায়ক ছিলেন। ইনি নোয়াখালি মিউনিসিপ্যালিটীর কমিশনার এবং ১৮৯৭ হইতে ১৯০৮ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত উহার ভাইস“চয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান ছিলেন । তাহার পর ইনি মিউনিসিপ্যাল বোর্ড হইতে অবসর গ্ৰহণ করেন। ১৯১৯ সালের জানুয়ারী মাসে তিনি পুনরায় মিউনিসিপ্যালিটীর কমিশনার মনোনীত হন এবং পরবত্তী মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারীতে মিউনিসিপ্যালিটীর চেয়ারম্যান নির্বাচিত চষ্টয়াছেন । তিনি বহুদিন নোয়াখালির অনারারী ম্যাজিষ্টেট এবং বে-সরকারী কারাগার-পরিদর্শক ছিলেন । তিনি নোয়াখালি বালিকাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা এবং সদর চেরিটেবল ডিস্পেন্সারীর যথেষ্ট সংস্কারসাধন করেন । তিনি যে সময়ে নোয়াখালি মিউনিসিপ্যালিটীর ভাইসচেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান ছিলেন, সেই সময়ের মধ্যেই নোয়াখালি সহারের বিস্তর উন্নতি সাধিত হয় । কুমিল্লায় যে বিভাগীয় কনফারেন্সের অধিবেশন হয়, তিনি তঁাহার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হইয়াছিলেন । তিনি বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটীর সদস্য। দেশবাসী ও গবৰ্ণমেণ্ট উভয়েই র্তাহার যোগ্যতা সম্বন্ধে আস্থাবান। এইজন্য ১৯১৮ সালের ক্লান্তয়ারী মাসে হাট-লুটের মামলার বিচারের জন্য যে স্পেশাল ট্ৰিবিউন্যাল বা বিশেষ আদালত গঠিত হইয়াছিল, তিনি উহার অন্যতম বিচারক নিযুক্ত হন এবং তঁাহার বিচারে গবর্ণমেণ্ট ও দেশবাসী সন্তোষ 2|*i* कg३का । ১৯১৯ সালের ৩রা জুনের গেজেটে সম্রাটের জন্মদিন উপলক্ষে যে উপাধিবিতরণ-তালিকা বাহির হয়, তাহাতে রাধাকাস্তের নাম ছিল । গবর্ণমেণ্ট তাহাকে ‘রায় বাহাদুর’ উপাধি-দানে সম্মানিত করিয়াছেন । রায় রাধাকান্ত যেমন গবৰ্ণমেণ্টের দরবারে প্রভূত সম্মান লাভ