পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVR বংশ-পরিচয় । এবং আপীল মামলারও বিচার করিতেন। আট মাস কয়েক দিন তিনি হাইকোটের বিচারাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন ; এই অল্প সময়েই তিনি অশেষ যোগ্যতা ও নিরপেক্ষতার সহিত কৰ্ত্তব্য পালন করিয়াছিলেন এবং দেশবাসীর প্রশংসাভাজন হইয়াছিলেন। ১৮৭০ খৃষ্টাব্দের ১৬ই ফেব্রুয়ারী তারিখে বিচারপতি ফিয়ার ও দ্বারকানাথ মিত্রের এজলাসে একটী মামলার শুনানী হয় । তাহারা এই মামলা পুনবিচারের জন্য নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠাইয়া দেন। কিন্তু নিম আদালতের জজ এই মামলা খারিজ করিয়া দেন । ১৮৭১ খৃষ্টাব্দের ১১ই আগষ্ট তারিখে ইহা পুনরায় হাইকোটো বিচারিত হইবার জন্য আসে। বিচারপতি অনুকূলচন্দ্র ও জ্যাকসনের এজলাসে মামলাটীর বিচার হয়। কিন্তু দুই জন বিচারপতিই দুইটী স্বতন্ত্র রায় দেন। কাজেই মামলাটী পুনর্বিচারের জন্য ফুল বেঞ্চে প্রেরিত হয়। ফুল বেঞ্চে বিচারপতি জ্যাকসন ( এই নামের অপর একজন বিচারপতি ), বিচারপতি সিদ্ধয়ার এবং বিচারপতি দ্বারকানাথ মিত্র ১৮৭১ খৃষ্টাব্দের ২০শে সেপ্টেম্বর এই মামলার বিচার করেন এবং বিচারপতি অনুকূলচন্দ্রের রায়ই বাহাল রাখেন। ফুল বেঞ্চে এই মামলার শুনানীর সময়ে কলিকাতা হাইকোটেস্ট্র তদানীন্তন সুপ্ৰসিদ্ধ ব্যারিষ্টার মিঃ উড়ফ ( আপীলকারীদের তরফের ব্যারিষ্টার ) বলিয়াছিলেন,-“আমার মক্কেলদের পক্ষ সমর্থনের জন্য সৰ্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট যুক্তি মাননীয় বিচারপতি অনুকূলচন্দ্রের রায়েই আছে।” এই বলিয়া তিনি তঁাহার রায় পড়িতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। বিচারপতি অনুকূলচন্দ্রের বিচারশক্তির প্রশংসা ইহা অপেক্ষা আর কি হইতে পারে । ফুলবেঞ্চের প্রধানতম বিচারপতি মাননীয় মি: এল এ* জ্যাকসনও তাহার সুবিচারের প্রশংসা করিয়া গিয়াছেন ।