পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N9y S বংশ-পরিচয় । প্ৰতিভা দেখিয়া গুরুমহাশয় তাহাকে স্নেহ না করিয়া থাকিতে পারিতেন DS DDJK DBDBD LDDBBDB BBD DD BB BuuDD EBBDL হইল না। দ্বাদশ বৎসর বয়সে তিনি পাঠশালা ত্যাগ করিয়া নিজের ভাগ্য পরীক্ষায় অগ্রসর হইলেন। দ্বাদশ বর্ষীয় অনাথ বালক বটকৃষ্ণ তঁহার মাতুল রামকুমার দের আশ্রয় গ্ৰহণ করিলেন, রামকুমারবাবু অপুত্রক ছিলেন ; তিনি ও তাহার সহধৰ্ম্মিণী বটিকৃষ্ণকে পুত্ৰাধিক মোহ করিতেন । র্তাহার মাতুল বংশ এক সময় অত্যন্ত ধনবান হইলেও, রামকুমার বাবু তত ধনবান ছিলেন না । কিন্তু তাহা বলিয়া তাহার সংসারে কোনরূপ অসচ্ছলতা ছিল না । কলিকাতা নুতন বাজারে রামকুমারীবাবুর একখানি মসলার দোকান ছিল । ৬/প্ৰসন্নকুমার ঠাকুর, ৬/গোপাললাল ঠাকুর, ৬/মহারাজা রামনাথ ঠাকুর প্রভৃতি কলিকাতার অনেকগুলি সস্ত্ৰান্ত ধনবান আপনাদিগের নিত্য প্ৰয়োজনীয় সমস্ত দ্রব্যই এই দোকান হইতে ক্ৰয় করিতেন ; রামকুমারবাবু স্বীয় বালক ভাগিনেয় বটকৃষ্ণকে এই দোকানে ব্যবসাকাৰ্য্য শিক্ষার জন্য নিযুক্ত করিলেন। প্ৰবীণ বণিক রামকুমার বালক বটকৃষ্ণকে সযত্নে ব্যবসা কাৰ্য্য শিক্ষা দিতে লাগিলেন ; মাতুলের একান্ত যত্নে ও শিক্ষাগুণে, বালক বটবৃকৃষ্ণ শীঘ্রই দোকানের কাৰ্য্যে বিশেষ পারদর্শিতা লাভ করিলেন । এই সময় হইতেই আমরা তঁহার মনে উচ্চাকাঙ্ক্ষার আভাস পাইয়া থাকি । মাতুলের দোকানে তাহার মন টিকিল না । তাহার উচ্চাকাঙ্ক্ষার আভাস পাইয়া, তাহার মাতুল কোন বাধা দিলেন না । ইংরাজী ১৮৪৬ সালে ষোড়শ বর্ষ বয়সে বটকৃষ্ণ স্বীয় মাতুলের দোকান ত্যাগ করিয়া, একাকী জগতে ভাগ্য পরীক্ষায় অগ্রসর হইলেন ।