পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

è à e ቕፎማ-°ifጳbጃ একদিন উৎসব-শেষে রাণী সহচরীদের সহিত প্রাসােদশীর্ঘ হইতে শুক্ল পক্ষের চাদ দেখিতে দেখিতে গঙ্গাস্নানের তিথি সমাগত মনে করিয়া গঙ্গা স্বান করিবার প্রবল বাসনা তাহাদিগকে জানাইলেন। কিন্তু পুণ্যতোয়া ভাগীরথী ত নিকটে নহে। বিশেষতঃ যুদ্ধে পরাজিত, অবমানিত মোগল সৈন্য তখনও প্ৰতিশোধ গ্রহণের জন্য ভাগীরথীর কুলে কুলে শিবির সংস্থাপন করিয়া অবস্থান করিতেছে। রাণী ভাবিলেন, তবে কি এই সব মোগল আততায়ীর জন্য র্তাহার। ইহকাল ও পরকালের ৯ থ পরিষ্কৃত হইবে না ? লক্ষ লক্ষ লোক গঙ্গা স্নান করিবে: আর তঁাহার ভাগ্যে গঙ্গা স্নান হইবে না ? সহচরীদের সহিত পরামর্শ করিয়া তিনি স্নানের দিন নিরাভরণা অবস্থায় ছদ্মবেশে গঙ্গামানে যাইতে সঙ্কল্প করিলেন। পাছে রাজা কোনরূপ আপত্তি করেন -এই আশঙ্কায় রাণী রাজাকে বিন্দুবিসর্গ না জানাইয়া স্নানের পূর্বদিন রাত্ৰিতে কয়েক জন সহচরীকে লইয়া গঙ্গাস্নান করিতে যান। তিনি যে বকসার ঘাটে স্নান করিতেছিলেন, সেই বকসার ঘাটেরই অনতিদূরে মােগল সেনাপতি শিবিরে অবস্থান করিতেছিলেন। রাণী যতই নিরাভরণাবস্থায় ছদ্মবেশে সুন্নানার্থ যাউন না কেন, তঁহার তপ্তকাঞ্চনসন্নিভ বর্ণ, অনুপম দেহসৌন্দৰ্য্য স্নানার্থিনী সকল রমণীর দেহসৌন্দৰ্য্যকে ছাপাইয়া তুলিয়াছিল। কাজেই সকলে আনিমেষনয়নে শুধু এই রূপসৌন্দর্ঘ্যের মূৰ্ত্তিমতী রাণীকে দেখিতেছিল। ক্ৰমে কাহারও আর সন্দেহ রহিল না যে, এই অসামান্য সৌন্দৰ্য্যময়ী নারী --অর্গলের রাণী। শিবিরে বসিয়া গুপ্তচরের মুখে এই সংবাদ শুনিয়া হুঙ্কৰ্য মোগল সেনাপতি মনে মনে ভাবিলেন, যদি এই রমণীটিকে ছলে, ৰলে, কৌশলে কোন ক্ৰমে হস্তগত করিয়া দিল্লীশ্বরের নিকট উপহার পাঠাইতে পারি, তাহা হইলে নিশ্চয়ই আমার উপর তাহার শুভ দৃষ্টি