পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মদেবী মিবারভূমি বীরাঙ্গনার লীলাভূমি। ভারতবর্ষ যে এক সময়ে বীরনারী-প্ৰসবিনী ছিলেন তাহা মিবারের ইতিহাস আলোচনা করিলেই দেখিতে পাওয়া যায়। দুৰ্দ্ধৰ্ষ মহম্মদ ঘোরীর সহিত যুদ্ধে তিরেীরী ক্ষেত্রে যখন পৃথ্বীরাজের সহিত মিবার-রাজ সমর সিংহ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন, তখন সমরসিংহের প্রধান মহিষী পৃথা চিন্তানলে দেহ ভস্মীভূত করেন । কিন্তু কৰ্ম্মদেবী সহমরণ-প্ৰথায় অনুসরণ করেন নাই । কেন না সমর সিংহ যুদ্ধে যাইবার পূর্বে কৰ্ম্মদেবীর অপ্ৰাপ্তবয়স্ক পুত্র কর্ণের হস্তে রাজ্যভার দিয়া যুদ্ধে গমন করিয়াছিলেন । পুত্রের অভিভাবিকা— স্বরূপ কৰ্ম্মদেবীই মিবারেরাজ্য শাসন করিতেছিলেন। বিজয়ী মহম্মদ ঘোরী দিল্লীশ্বর পৃথ্বীরাজকে পরাজিত করিয়া তাহাকে যে দেশদ্রোহী কুলাঙ্গার পৃথুিরাজ-দমনে আহবান করিয়া আনিয়াছিলেন,সেই কনৌজ আধিপতি জয়ৰ্চাদের দিকে ধাবিত হইলেন। জয়চাঁদ পরাজিত হইলেন। তখন ভারতবাসী প্ৰাণে প্ৰাণে বুঝিতে পারিল যে, গৃহবিবাদ আপনা। আপনির মধ্যে যতটা হয় হউক, কিন্তু সেজন্য যে বর্বর অপর বিদেশী শক্তিকে আমন্ত্রণ করিয়া আনে তাহার বিনাশী-সাধন সর্বাগ্রে হয় । বিদেশী আততায়ী যত কেন মিত্ৰতার ভাণ পূর্বে দেখাক না কেন, তাহারা একে একে সকল শক্রকে পরাভূত করিয়া থাকে। কনৌজরাজ জয়চাদকে পরাজিত করিবার পর মহম্মদ ঘোরীর লোলুপ দৃষ্টি মিবােররাজ্যের উপর পতিত হয় এবং সে কুতবুদ্দীনকে মিবার অধিকার জন্য প্রেরণ করেন। মিবারের প্রজাগণ সকলে কৰ্ম্মদেবীর আহবানে সমবেত হয়। কৰ্ম্মদেবী নিজে যুদ্ধ করিবেন। বলিয়া তাহাদিগকে প্ৰোৎসাহিত করেন এবং নিজে অমিতবিক্রমে