পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণী ভবানী বঙ্গদেশ পুণ্যভূমি। হিন্দুধর্মের জলন্ত মূৰ্ত্তি এক সময়ে এই বঙ্গদেশেই ফুটিয়া উঠিয়াছিল। আতিথেয়তা, দরিদ্রবাৎসল্য, পরদুঃখকাতরতা, দান, ধ্যান, পূজাৰ্চনা-যাহ কিছু হিন্দুজাতির বৈশিষ্ট্য তাহা এই বঙ্গদেশে পরিস্ফুট হইয়া উঠিয়াছিল। বেশী দিনের কথা নহে, নবাব সিরাজুদ্দৌলা যখন বাঙ্গালার নবাব এবং স্বজাতি ও স্বদেশবাসীর কূট চক্রান্তে যখন পলাশী-প্ৰাঙ্গণে নামমাত্র যুদ্ধে ইংরাজ এদেশকে চিরকালের মত হস্তগত করিয়া লইয়া মুসলমান রাজ্যের যবনিকাপাত করিয়াছিলেন, তখন রাণী ভবানী ছিলেন বাঙ্গালার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভূম্যধিকারিণী। রাজসাহী জেলার নাটোর তাহার রাজধানী ছিল। তিনি বড় ভূম্যধিকারিণী বলিয়া নহেন, পরন্তু র্তাহার বিপুল জমিদারীর আয় তিনি অকাতরে দীন-দুঃখী, দেবদ্বিজ, অতিথি-অভ্যাগতের সেবায় ব্যয় করিয়া ছিলেন বলিয়া আজিও শুধু বঙ্গদেশ নহে-সুদূর বারাণসীBD DBBDS DDB BDDDBB DBBD DBBDD BDD DDB DLELD করিতেছে । রাণী ভবানী জমিদারীর আয় ভোগ অপেক্ষা দানে অধিকতর আনন্দ পাইতেন । রাণী ভবানীর শ্বশুর রাজা রামজীবন ও তাহার ভ্রাতা রঘুনন্দন প্ৰকৃত পক্ষে নাটোরের জমিদারীর প্রতিষ্ঠাতা। রঘুনন্দন ও রামজীবন বাল্যকালে পুটিয়ার জমিদার-সরকারে প্রতিপালিত হন। পুটিয়ার জমিদার দপনারায়ণ বাঙ্গালার রাজস্ব-বিভাগের একজন প্ৰধান কৰ্ম্মচারী ছিলেন, তিনি রঘুনন্দনের গুণে মুগ্ধ হইয়া তাহাকে আপনার সহকারী-পদে নিযুক্ত করেন। ক্রমে রঘুনন্দনের সহিত বাঙ্গালার তদানীন্তন নবাব মুর্শিদকুলী খাঁর পরিচয় হয় এবং একদা নবাব মুর্শিদকুলী কোন গুরুতর রাজকাৰ্য্যে রঘুন্দনের নিকট হইতে যথেষ্ট সাহায্য পান। ফলে তিনি রঘুনন্দনের উপর এতদূৱ