পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR 8 sቫ-°ዥfቘbቯ সন্তুষ্ট হন যে, রাজসাহীর জমিদার উদয়নারায়ণ যখন নবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়া পরাজিত হন তখন নবাব রঘুনন্দনকৈ সেই বিস্তীর্ণ জমিদারী প্ৰদান করেন। পুটিয়ার জমিদারীও উদয়নারায়ণের জমিদারীর অন্তভুক্ত ছিল। রঘুনন্দন ইহাও পাইয়াছিলেন। তিনি সমস্ত জমিদারীটি গ্রাস না করিয়া লস্করপুর পরগণা তঁহার পূর্ব মালিক দপনারায়ণের পরিবারবগকে প্ৰত্যপণ করিলেন এবং আপন ভ্ৰাতা রামজীবনের নামে পুটিয়ার সমগ্র জমিদারী পত্তন করিয়াছিলেন। শুধু পুটিয়া নহে, ক্ৰমে ক্রমে রঘুনন্দন রাজসাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর এবং যশোহরের অনেক জমিদারী পাইলেন। দেড় শত বৎসর পূর্বে বাঙ্গালা দেশে নাটোরের জমিদার রঘুনন্দনের জমিদারীর ন্যায় বিস্তীর্ণ জমিদারী আর ছিল না। রঘুনন্দনের জমিদারী হইতে বৎসরে নবাব সরকারে ৫২ লক্ষ টাকা রাজস্ব প্ৰদান করা হইত। রঘুনন্দন এতাদৃশ ভ্ৰাতৃবৎসল ছিলেন যে, তিনি স্বে পার্জিত বিস্তীর্ণ জমিদারী আপন ভ্ৰাতা রামজীবনের নামে পত্তন করিয়া দিয়াছিলেন। নবাব রামজীবনকে “রাজা” উপাধি প্ৰদান করিয়াছিলেন । রঘুনন্দনের সন্তানাদি হয় নাই। রামজীবনের রামকান্ত নামে একটি পোষ্য পুত্র ছিল আর তাহদের সব্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা বিষ্ণুরামের দেবীপ্ৰসাদ নামে একটি পুত্র ছিল। দেবীপ্রসাদ রামকান্তকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত করিয়া সমস্ত জমিদারী নিজে ভোগ দখল করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন, ইহা দেখিয়া রামজীবন রামকান্তকেই উইলের দ্বারা সমগ্র জমিদারীর অধিকারী করিয়া গেলেন । রামজীবনের নামেই জমিদারী পত্তন ছিল, সুতরাং এরূপ করিবার তাহার সম্পূর্ণ অধিকার छिल । রাজসাহী জেলার হাতিম গ্রামের ব্ৰাহ্মণবংশীয় জমিদার আত্মারাম চৌধুরীর কন্যা ভবানীর সহিত দেবীপ্ৰসাদের বিবাহ হয়। রাম