পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণী ভবানী S& প্ৰসাদ নাটোর-সিংহাসনে উপবেশন করিবার পর হইতে প্ৰজাগণের উপর অমানুষিক অত্যাচার আরম্ভ করিয়াছিলেন। প্ৰজাগণের গৃহদাহ হইতে যুবতীহরণ পৰ্য্যন্ত কোন দুষ্কৰ্ম্মই র্তাহার বাকি ছিল না। BDB DuuDuDB DBB DBDDBB DBBDBD DBBB DDD থাকিত। নিজেও মদ খাইয়া এরূপ মাতাল হইয়া পড়িয়া থাকিতেন যে, রাজকাৰ্য্যে আদৌ মনোনিবেশ করিতেন না। ফলে নবাব সরকারে বার্ষিক রাজস্ব বন্ধ হইল, ঘন ঘন তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি নবাবদরবারে রাজস্ব প্রেরণ করিতে পারিতেন না । ইহার ফলে নবাৰ আলিবর্দী কুপিত হইয়া একদিন প্ৰকাশ্য দরবারে নাটোর রাজ্যের ব্যবস্থা করিবার জন্য মন্ত্রিগণের পরামর্শ চাহিলেন । দয়ারাম রায় সেই দরবারে উপস্থিত ছিলেন। সুযোগ বুঝিয়া তিনি রামকান্তকে পুনরায় নাটোরের রাজপদে প্ৰতিষ্ঠা করিবার প্রস্তাব করিলেন। নবাব আলিবাদী দয়ারামের প্রস্তাবানুসারে রামকান্তকে নাটোররাজ্য পুনরায় প্ৰত্যপণ করিবার আদেশ প্ৰদান করিলেন। অচিরাৎ নবাবের সৈন্যদল নাটোরে আসিয়া দেবীপ্রসাদের ধনভাণ্ডার লুণ্ঠন করিল এবং সস্ত্রীক রামকান্তকে নাটোর রাজ্যে প্ৰতিষ্ঠা করিল। রামকান্তের পুনরাগমনে নাটোর রাজ্যের প্রজামণ্ডলীর মধ্যে আবার তুমুল আনন্দের কোলাহল উঠিল। রাণী ভবানীর মাতুল-পুত্র চন্দ্রনাথ ঠাকুর এবার দয়ারামের পরামর্শানুসারে জমিদারী পরিচালনা করিতে লাগিলেন। তখন যে রামরূপকে রামকান্ত একদিন সদর হইতে দূরীভূত করিয়া দিয়াছিলেন সেই রামরূপ এখন রামকান্তের দক্ষিণ হস্ত হইল। রাজা রামকান্ত রাজ্যাভিষেক উৎসব উপলক্ষে রাণী ভবানীর সঞ্চিত অর্থের অৰ্দ্ধেক নজরানা-স্বরূপ নবাব দরবারে প্রেরণ করিলেন, অবশিষ্ট টাকায় দেবীপ্রসাদ আগুন জ্বালাইয়া প্ৰজাদের যে সকল ঘরবাড়ী ভস্মীভূত করিয়াছিল সেগুলি নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিলেন, যাহারা খাজনার টাকা