পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় 28\ܠܹ খৃষ্টাব্দে কোম্পানী দেওয়ানী সনন্দ লাভ করিলে মীরজাফরের পুত্ৰ नाCभ भाखा नदाद शून्म । ১৭৬৮ খ্ৰীষ্টাব্দে (১১৭৪ সালে) বঙ্গদেশে অজন্ম হওয়ায় এরূপ দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয় যে, দুর্ভিক্ষ-ক্লিষ্টদের মৰ্ম্মভেদী কাহিনী শুনিয়া কাশীধাম হইতে সাক্ষাৎ অন্নপূর্ণরূপিণী জননী ভবানী নাটোরে আসিয়া উপস্থিত হন । আসিয়া দেখেন, প্ৰজাগণ অন্নাভাবে মাঠের তৃণ ভক্ষণ আরম্ভ করিয়াছে কিন্তু তাহাও জুটিতেছে না। পথে ঘাটে মানবের মৃতদেহ পড়িয়া রহিয়াছে। প্ৰজা ও দেশবাসীর এই প্ৰকার দারুণ দুরবস্থা দর্শনে ব্যথিত হইয়া দয়াময়ী রাণী ভবানী কৰ্ম্মচারীদিগকে ডাকিয়া বলিলেন, “খাজনার জন্য কোন প্ৰজাকে কখনও পীড়ন করিবে না, প্ৰতি গ্রামে গ্রামে কেন্দ্ৰ খুলিয়া অকাতরে দুর্ভিক্ষ-ক্লিষ্টদের মধ্যে অন্ন বিতরণ কর।” বহু রাজবৈদ্য নিযুক্ত করিয়া গ্রামে গ্রামে তাহাদিগকে চিকিৎসার জন্য পাঠাইলেন। রাণী ভবানী রাজকোষ মুক্ত করিয়া দীর্ঘকাল ধরিয়া সেই দুর্ভিক্ষের সময় ক্ষুধিতকে অন্নদান করিয়াছিলেন । ১১৭৬ সালে এই দুর্ভিক্ষ প্ৰবল আকার ধারণ করে বলিয়া আজিও এই মন্বন্তরকে “ছিয়াত্তরের মন্বন্তর” বলিয়া থাকে। রাণী ভবানী এই মন্বন্তর-দমনে নিজের রাজকোষ শূন্য করিলেও মন্বন্তর এরূপ প্ৰলয়ঙ্করী মূৰ্ত্তিতে উপস্থিত হইয়াছিল যে, বাঙ্গালার এক তৃতীয়াংশ লোক সেই সময় অন্নাভাবে মারা গিয়াছিল । মন্বন্তরের পর দেশে কয়েক বৎসর প্রচুর শস্য হইয়াছিল। ১৭৭২ খৃষ্টাব্দের ১৩ই এপ্রিল ওয়ারেণ হেষ্টিংস ভারতের গবর্ণরজেনারেল হইয়া আসেন। প্ৰথম বয়সে তিনি কাশিমবাজারের কুঠতে সামান্য কাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি রাজস্ব আদায়ের জন্য “সার্কিট কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করেন । কমিটি রাণী ভবানীর রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করেন, তাহার ফলে রাণী ভবানী