পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদ্মিনী ভারতবর্ষ যে বীরপ্ৰসবিনী তাহ-রাজস্থানের ইতিহাস পাঠ করিলেই সম্যক জানা যায়। রাজস্থানের আজ আর সে গৌরব নাই সত্য, কিন্তু এক সময়ে উহা বীরাঙ্গনাগণকে বক্ষে ধারণ করিয়া কৃতকৃতাৰ্থ হইয়াছিল, একথা ভারতবাস কখনও ভুলিতে পারিবে না । রাণা লক্ষ্মণ সিংহ যখন চিতোরের রাণা, তখন পাঠান-রাজ আলাউদ্দীন খিলিজী দিল্লীর সিংহাসনে সমাসীন, লক্ষ্মণ সিংহ নাবালক বলিয়া তাহার পিতৃব্য ভীমসিংহ তাহার অভিভাবকত্ব করিতেন। পদ্মিনী এই ভীমসিংহেরই পত্নী। রূপে, গুণে তখন পদ্মিনীর মত ভারতে কেহ ছিল না । পথিক পথে যাইতে যাইতে পদ্মিনীর রূপের ব্যাখ্যা করিত। রাখাল গোপাল চরাইতে চরাইতে পদ্মিনীর অসামান্য রূপের আলোচনা করিত । কুল-কামিনীরা একত্র হইলে কেবল পদ্মিনীরই রূপের আলোচনা করিয়া হিংসানলে জলিয়া পুড়িয়া মরিত। এমন কি পদ্মিণীর রূপের খ্যাতি মিবার রাজ্য ছাড়াইয়া সুদূর দিল্লী পৰ্য্যন্ত পৌঁছিয়া ছিল এবং কামিনী-লুব্ধ, ইন্দ্ৰিয়পরতন্ত্র আলাউদ্দীনের পদ্মিনী-দর্শন পিপাসা জাগরিত হইয়াছিল। আলাউদ্দীন পদ্মিনীর রূপের খ্যাতি শুনিয়া তাহাকে লাভ করিবার জন্য চিতোর আক্রমণ করেন। দিল্লীশ্বর আলাউদ্দীনের সৈন্য-সংখ্যা যদিও প্রবল এবং তাহার তুলনায় মিবারের সৈন্য সংখ্যা কিছুই নহে, তথাচ রাজপুত বীরগণ স্বদেশ ও স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষা এবং মাতৃজাতির সম্মানরক্ষার জন্য এরূপ অমিতপরাক্রমে যুদ্ধ করিয়াছিলেন যে, আলাউদ্দীনের সৈন্যগণ অনেকে হতাহত হয়। রাজপুত সৈন্যও যে একেবারে হতাহত না হইয়াছিল,