পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শচীমাতা S8) অতি সমুদরে তঁহাদের জন্য রন্ধন করিতেন। এইভাবে কিছুকাল যাইল নিমাই কাটোয়ায় কেশব ভারতীর নিকট সন্ন্যাসধৰ্ম্মে দীক্ষা লইবার জন্য রাত্রিকালে শচীমাতা ও বিষ্ণুপ্রিয়াকে ত্যাগ করিয়া চলিয়া যান। নিমাই-জননী পুত্রের বিচ্ছেদ-শোকে অনেক কান্নাকাটি করিলেও র্তাহাকে ফিরাইয়া আনিবার জন্য কোন প্ৰকার চেষ্টা করেন নাই। ইহার পূর্বে বিশ্বরূপ র্তাহার গৃহ চিরকালের নিমিত্ত অন্ধকার করিয়া সন্ন্যাসী হইয়া চলিয়া গিয়াছিলেন, জগতের সর্বসারাৎসার ভগবানের সন্ধানে গিয়াছেন বলিয়া তিনি সেবারও যেমন মনকে প্ৰবোধ দিয়াছিলেন, এবারে ও তেমনি মনকে প্ৰবোধ দিলেন । কেশব ভারতীর নিকট দীক্ষা গ্ৰহণ করিয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গ ভক্তগণের অনুরোধে শান্তিপুরে অদ্বৈতাচাৰ্য্যের বাটীতে আগমন করিলেন, সেখানে পূৰ্ব্ব হইতেই চন্দ্ৰশেখর শচীমাতাকে লইয়া আসিয়াছিলেন। শচীমাতা পুত্রের মুণ্ডিত মস্তক ও কৌপীনবাসদর্শনে মনে ব্যথা পাইলেণ্ড, পাছে পুত্র ও ভক্তগণ মনে ব্যথা পান, সেজন্য একটি কথাও বলিলেন না। যে কয়েকদিন গৌরাঙ্গদেব শান্তিপুরে ছিলেন, শচীমাতা সে কয়েকদিন আপন হস্তে রন্ধন করিয়া নিমাইকে খাওয়াইতেন। ক্রমে নিমাইয়ের দৃঢ়তার হ্রাস হইল। গৈরিক বাস ত্যাগ করিয়া মায়ের ও বিষ্ণুপ্রিয়ার আনন্দ-বিধানের জন্য পুনরায় গৃহীবেশে নবদ্বীপে যাইবার ইচ্ছা হইল। ভক্তগণ সেই কথা শুনিয়া একে একে সকলে শচীমাতার নিকট গিয়া বলিলেন, “মাতঃ ! প্ৰাণের নিমাই আমাদের পুনরায় সংসারী হইয়া আমাদের মধ্যে বাস করিতে অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিয়াছেন, এখন আপনার অনুমতি-সাপেক্ষ। আপনি যদি অনুমতি দেন, আপনি যদি একবার মুখ ফুটিয়া বলেন, তাহা হইলেই নবদ্বীপচাদ নবদ্বীপে ফিরিয়া यान !” শচীমাত ভক্তগণের মুখে এই কথা শুনিয়া বলিলেন-“তোমরা