পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীমাতা সারদা y \ আমি ধরাতলে পড়ব লুটে তারা বলে হ’ব সারা ।” মায়ের এই অবস্থা দেখিয়া একদিকে র্তাহার গ্রামবাসিগণ যেমন র্তাহাকে পাগলিনী বলিতে লাগিল, অমনি অন্যদিকে দক্ষিণেশ্বরে রামকৃষ্ণ দেবের ভাব দেখিয়া সকলে তঁহাকে পাগল বলিয়া উপহাস করিতে লাগিল । মায়ের কৰ্ণে সে উপহাস পৌছিল। তাহার স্বামী পাগলএ চিন্তা করিতেও তঁহার যেন বুক ফাটিয়া যাইত। তিনি স্বামীকে দেখিবার জন্য পিতার সহিত কলিকাতায় আসিলেন। ঠাকুর তাহাকে অবহেলা করিলেন না। মায়ের বহুদিনের মনোবাঞ্ছা এতদিনে পরিপূর্ণ হইল—ম আমার স্বামীর পদপ্রান্তে বসিয়া তাহার নিকট কত না ধৰ্ম্মের কথা শুনিতে লাগিলেন। হর-পাৰ্বতীর মত মা-বাবা দীর্ঘ এক বৎসর একত্র মায়ের পূজাৰ্চনা করিতে লাগিলেন। কঠোর সংযম ও ব্রহ্মচর্য্যে দুই জনেই উত্তীর্ণ হইলেন-ঠাকুর মাকে সাক্ষাৎ জগদম্বা বলিয়া বুঝিতে পারিলেন । ক্ৰমে ১২৮১ সালের জ্যৈষ্ঠমাস আসিল । গ্রীষ্মের শুষ্কপ্ৰায় তটিনী বর্ষার বারিপাতে পরিপূর্ণ কলেবর হইল-নিদাঘ-তাপদগ্ধ প্ৰস্তর-কঠিন মৃত্তিকা প্ৰাবৃটি-সলিল-আভিসিঞ্চনে সিক্ত ও আর্দ্র হইল, বহিঃপ্রকৃতিতে রসের সঞ্চারের সঙ্গে সঙ্গে ঠাকুরের হৃদয়ক্ষেত্রে মাতৃ-ভক্তির ফন্তুধারা প্ৰবাহিত হইয়া পড়িল । ঠাকুর জ্যৈষ্ঠমাসের অমাবস্যায় মাক পীঠস্থানে বসাইয় তাহাকেই মাতৃ-সম্বোধনে পূজা করিয়া মায়ের চরণে আত্মনিবেদন করিলেন-ঠাকুরের মাতৃসাধনার আজ পূর্ণ উদযাপন হইল। তার পর লীলার অবসানে ঠাকুর পার্থিব দেহ পরিত্যাগ করিয়া গেলেন, মা তঁহার সন্তানবৰ্গকে লইয়া তাহদের লালন-পালন করিতে লাগিলেন । মা স্বহস্তে রন্ধন করিতেন, পরিবেশন করিতেন, সন্তানের বিষ্ঠা-মুত্র পরিষ্কার করিতেন-এক হাতে গাৰ্হস্থ্য ও অন্য হস্তে সন্ন্যাস