পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ड्यांत्रि-ख्रश्नर्नौ दांत्रे स्त्रांत्र ს °}Xა মুসলমান সমাজ অবরোধ-প্ৰথায় হিন্দু সমাজকেও উল্লঙ্ঘন করিয়া গিয়াছে। সহর তা দূরের কথা, অতি বড় গণ্ডগ্ৰামেও মুসলমান নারীদিগকে যে ভাবে অবরোধের গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ রাখা হয়, যে ভাবে রেলে, ষ্টীমারে তুলিবার সময় মুসলমান মহিলাকে চারিদিকে কাপড় ঘিরিয়া লইয়া যাওয়া হয়, তেমন ধারা অবরোধ-প্রথার কড়াকড়ি হিন্দুসমাজে নাই। মুসলমান সমাজের মধ্যে অবরোধের কড়াকড়ি দেখানই হইল সম্রান্ততা দেখাইবার প্রধান উপায়। বাঈ আম্মা মুসলমান সমাজের এই ত্রুটিটুকু লক্ষ্য করিয়া এবং স্বদেশীসাধনায় মহিলারা যোগদান না করিলে এ যজ্ঞ কখনও সুসম্পন্ন হইবে না, এই সত্যটুকু হৃদয়ঙ্গম করিয়া নিজে প্ৰকাশ্য সভাসমিতিতে যোগদান করিতে আরম্ভ করেন। খেলাফৎ আন্দোলনের সময় আলিজননী দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করিয়া খেলাফৎ ফণ্ডে অর্থসাহায্য করিয়াছিলেন। মৌলানা মহম্মদ আলি ও মৌলানা সৌকত আলির ন্যায় তিনিও মহাত্মা গান্ধীর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন । মহাত্মা গান্ধী আপিন ত্যাগ, সংযম, বিশ্বপ্রেমের মহিমায় একাধারে হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়ের যেরূপ শ্ৰদ্ধা ভক্তি পাইতেছেন, এরূপ কোন নেতার ভাগ্যে কখনও হয় নাই। কেন হয় নাই ? এ পৰ্য্যন্ত যত নেতা রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মক্ষেত্রে আবিভূতি হইয়াছিলেন। তঁহাদের মধ্যে অনেকেই স্বরাজ লাভের জন্য মুসলমানদের সহায়তা আবশ্যক, শুধু এই স্বার্থপ্রণোদিত ধারণার বশবৰ্ত্তী হইয়া মুসলমানদিগকে সভা-সমিতিতে ডাকিতেন, কিন্তু মহাত্মার মুসলমান-প্ৰীতি কোন স্বাৰ্থ-সাধনের জন্য নয়। তিনি মুসলমানের ধৰ্ম্মস্থান খেলাফতের অবমাননা দেখিয়া তাহার প্রতীকারে আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন। শুধু ইসলামের ধৰ্ম্ম কেন, যদি খ্ৰীষ্টানের, বৌদ্ধের, পাশীর ধৰ্ম্মেরও এইরূপ অবমাননা দেখিতেন, তাহা হইলেও মাহাত্মা তাহার প্রতীকারে আত্মনিয়োগ