পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S) ө বংশ-পরিচয় পুত্ৰগণ হিংসার আগুণে জলিয়া পুড়িয়া মরিতে লাগিল। দুৰ্য্যোধন কুন্তীসহ পাণ্ডবগণকে কেমন করিয়া বিনাশ করিবেন, নিশিদিন তাহা ভাবিতে লাগিলেন। একদিন দুৰ্য্যোধন বারবাণতে গালা ও নানারূপ দাহ পদাৰ্থ দিয়া একটি জতুগৃহ নিৰ্ম্মাণ করিল, ধৃতরাষ্ট্র আপনি পুত্রদের অভিসন্ধি কিছুই বুঝিতে না পারিয়া কুন্তীসহ পাণ্ডবগণকে বারবাণতে যাইতে আদেশ করিলেন। এক নিষাদ পরিবারের পাচ জনও তাহদের ন্যায় ঐ জতুগৃহে আশ্ৰয় লইয়াছিল। যুধিষ্ঠির সেই গৃহে প্ৰবেশ করিয়া দুৰ্য্যোধনের চক্রান্ত বুঝিতে পারিয়া তৎক্ষণাৎ মাতা ও ভ্রাতাগণসহ বাহির হইয়া চলিয়া আসিলেন। প্ৰাতঃকালে দুৰ্য্যোধন প্ৰভৃতি সেই নিষাদ পরিবারের পাঁচজনের ভস্মীভূত কঙ্কাল দেখিয়া মনে করিল, পাণ্ডবগণ নিশ্চয়ই মারা গিয়াছে। পাণ্ডবগণ আর গৃহে না ফিরিয়া ছদ্মবেশে নানাস্থানে ভ্ৰমণ করিতে করিতে অবশেষে একচক্র নামক এক নগরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । এক ব্ৰাহ্মণের গৃহে আতিথ্য গ্ৰহণ করিয়া তাহারা অবস্থান করিতে লাগিলেন । সেই গ্রামে বকরাক্ষস নামে এক মহাবল-পরাক্রান্ত রাক্ষস বাস করিত। সেই রাক্ষসের আহারের নিমিত্ত গ্রামের প্রত্যেক পরিবার হইতে এক একটি লোককে পৰ্য্যায়ক্রমে পাঠাইতে হইত। একদিন যুধিষ্ঠিরাদি চারিভ্রাতা আহাৰ্য্যের সন্ধানে বাহির হইয়াছে, কুন্তী ও ভীম ঘরে আছেন। এমন সময়ে ব্রাহ্মণের গৃহে ক্ৰন্দনের কলরব উঠিল । কুন্তী জিজ্ঞাসায় জানিলেন, আজ ব্রাহ্মণ পরিবারের মধ্যে একজনের যাইবার পালা। ইহা শুনিয়া কুন্তী ব্ৰাহ্মণ পরিবারকে আশ্বাস দিয়া বলিলেন, “আজ আমি রাক্ষসের নিকট আমার পুত্ৰকে পাঠাইতেছি, আপনারা নিশ্চিন্ত হউন।” এদিকে যুধিষ্ঠিরাদি ঘরে ফিরিলে কুন্তী ভীমকে বকরাহ্মসের নিকট পাঠাইয়াছেন শুনিয়া তাহাকে তিরস্কার করিতে লাগিলেন। কুন্তী বলিলেন, “বাবা ! বিপন্ন ব্ৰাহ্মণকে রক্ষা