পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ংশ-পরিচয় ভ্ৰাতা দ্বাদশ বৎসরের জন্য বনবাস করিতে বাধ্য হইলেন। কুন্তী সানন্দচিত্তে পুত্ৰগণকে পাণরক্ষার অনুমতি দিলেন। দ্রৌপদী ও পাণ্ডু পুত্ৰগণের সহিত বনে চলিলেন দীর্ঘ দ্বাদশ বৎসর বনবাস ও এক বৎসর অজ্ঞাত বাস করিয়া ফিরিয়া আসিবার পরও দুৰ্য্যোধন বিনা যুদ্ধে তাহাদিগকে সূচ্যগ্ৰ মেদিনী দিবেন। না বলিলেন। শ্ৰীকৃষ্ণ দূতরূপে গিয়া দুৰ্য্যোধনকে কত অনুরোধ করিলেন, কিন্তু তাহাতেও দুৰ্য্যোধন সম্মত হইলেন না। কুন্তীর অভিপ্ৰায় জানিতে গেলে কুন্তী শ্ৰীকৃষ্ণকে বলিলেন, “আমার পুত্ৰগণ যে সভামধ্যে দ্ৰৌপদীর অপমান সহা করিয়া ক্ষত্ৰিয়ের কৰ্ম্ম ভুলিয়া এখনও দুৰ্য্যোধনের তোষামোদ করিতেছে, ইহাতে আমি যৎপরোনাস্তি ব্যথিত হইয়াছি । তাহারা কি যুদ্ধ করিয়া মায়ের পরাধীনতা দূর করিতে পারে না ?” কুন্তীর এই কথা শ্ৰীকৃষ্ণ আসিয়া যুধিষ্ঠিরের নিকট বলিলেন। মাতৃবাক্য স্মরণ করিয়া পাঁচ ভাই সেই শত কৌরবের সহিত যুদ্ধ করিতে প্ৰস্তুত হইলেন। কুরুক্ষেত্রে উভয় দলে ভীষণ যুদ্ধ হইল। কৌরব পক্ষে বৃদ্ধ ধৃতরাষ্ট্র, কৌরব-মহিষী গান্ধারী ও দ্রোণপুত্ৰ অশ্বখাম ব্যতীত সেই যুদ্ধে আর সকলেই নিহত হইল। কুন্তাদেবী আপন পুত্ৰগণের বিজয়লাভে আনন্দিত হইলেও আত্মীয়-স্বজনবধে নিরতিশয় দুঃখিত হইলেন । অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের চক্ষুর জল ও গান্ধারীর দীর্ঘশ্বাস সহ করিতে না পারিয়া তিনি তঁহাদের সেবা-শুশ্রুষা করিতে লাগিলেন। কিছুদিন পরে ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারী উভয়ে বনগমন করিলেন, কুন্তীও তঁহাদের সেবা করিবার জন্য বনে চলিয়া গেলেন। তঁহাকে বনে যাইতে দেখিয়া যুধিষ্ঠির বলিলেন, “মা ! যখন আমাদের দুঃখের সময় ছিল তখন তুমি ংসারে থাকিলে, আর আজ সুখের দিনে রাজ্য-সংসার ছাড়িয়া বনে যাইতেছ। কেন ? যদি এই ভাবে বনে যাইবে, তাহা হইলে যুদ্ধ করিবার