পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গান্ধারী কিন্তু দুৰ্য্যোধনের অনুরোধে ধৃতরাষ্ট্র তাহাতে কোন মতে সম্মত হইলেন না। তখন গান্ধারী নিজে রাজসভায় উপস্থিত হইয়া বলিলেন, ‘রাজা ! তুমি পাপিষ্ঠ পুত্রদের কথামত এ কি অন্যায় কাজ করিতেছ? কেন শান্তির স্থলে অশান্তি আনয়ন করিতেছ?” দুৰ্য্যোধনকে সম্বোধন করিয়াও তিনি বলিলেন, “বৎস ! যদি মা বলিয়া আমার প্রতি তোমার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাভক্তি থাকে, তাহা হইলে আজই যুধিষ্ঠিরকে অৰ্দ্ধ রাজ্য প্ৰদান কর, আর আপনাআপনির মধ্যে বিবাদ বাধাইয়া কুলক্ষয়ের পথ পরিষ্কার করিও না।” দুৰ্য্যোধনও গান্ধারীর কথায় কৰ্ণপাত করিলেন না। ফলে কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ বাধিল । দীর্ঘ অষ্টাদশদিবসব্যাপী যুদ্ধে কুরুকুল নিৰ্ম্মল হইল। প্রতিদিন যুদ্ধে যাইবার পূর্বে দুৰ্য্যোধন যখন গান্ধারীকে প্ৰণাম করিতে যাইতেন, তখন গান্ধারী তাহাকে বলিতেন, “পুত্ৰ ! জানিও যেখানে ধৰ্ম্ম, সেইখানেই জয়।” যুদ্ধান্তে পুত্ৰগণকে হারাইয়া গান্ধারী উন্মত্তাপ্ৰায় হইলেও পাণ্ডবগণকে অভিশাপ প্ৰদান করিলেন না। পাণ্ডবগণকে কোলে লইয়া বলিলেন, “আমার শত পুত্ৰ গিয়াছে, এখনও তা পাঁচটি পুত্ৰ আছে।” যুদ্ধান্তে শ্ৰীকৃষ্ণের সহিত গান্ধারী রণক্ষেত্রে গিয়া পুত্ৰগণের রুধিরাক্ত দেহ ও ছিন্নমুণ্ড দেখিয়া বিলাপ করিতে থাকেন এবং বলেন, “এই দৃশ্য আজ আমাকে দেখিতে হইবে বলিয়াই আমি ভূয়োভূয়ঃ দুৰ্য্যোধনকে যুদ্ধ করিতে নিষেধ कब्रिभाछिलाभ ।" অতঃপর গান্ধারী অন্ধপতি ধৃতরাষ্ট্রের সহিত বনগমন করেন । সেই বনে অকস্মাৎ দাবানল উপস্থিত হওয়ায় ধৃতরাষ্ট্র ও কুন্তীর সহিত शांकोंट्री७ डन्यौजूड श्न।