পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

after VOO করে ; ইহাদিগকেও তিনি নানারূপ তত্ত্বজ্ঞান শিক্ষা দিতেন। অতঃপর চতুর্থ পুত্র জন্মগ্রহণ করিলে রাণী মদালসা স্বয়ং তাহার নাম রাখিলেন “অলৰ্ক’। রাজা বলিলেন, “আচ্ছা রাণী পুত্রটির নাম অলৰ্ক রাখিলে কোন বিবেচনায় ? “অলৰ্ক’ কথার কি কোন অর্থ আছে ?” রাণী বলিলেন, “নামের আবার কোন অর্থ হয় কি ? তুমি যে পুত্রদের নাম “বিক্রান্ত’ SuDuDDS SLBBBu DS SDBDBD SBD LBg BDBBDS DD আত্মা সৰ্বগত, সর্বব্যাপী ; সুতরাং আত্মার কোন গতি নাই বলিয়া “বিক্ৰান্ত’ নামের কোন অর্থ হইতে পারে না। আত্মা রূপহীন বলিয়া, তাহার কোন বাহু থাকাও সম্ভবপর নহে। আর আত্মা সকল শরীরেই বিদ্যমান ; সুতরাং তঁাহার। আবার শক্ৰই বা কে আর মিত্ৰই বা কে ? কাজেই নামকরণ একটা লোকাচার ব্যতীত অন্য কিছুই নহে। সুতরাং আমার অলৰ্ক নামও বৃথা হয় নাই।” রাণী মদালসা অন্যান্য পুত্ৰগণের ন্যায়। অলৰ্ককেও তত্ত্বজ্ঞান শিক্ষা দিতে লাগিলেন। রাজা ঋতধ্বজ রাণীকে বলিলেন, “ছেলেকে তত্ত্বজ্ঞান না শিখাইয়া কৰ্ম্মমার্গের উপদেশ দাও।” রাজার আদেশে রাণী মদালসা অলৰ্ককে এরূপ সমস্ত কৰ্ম্মমার্গের উপদেশ দিতে লাগিলেন যে, ভাৰী জীবনে অলৰ্ক একজন সর্বগুণসম্পন্ন, কৰ্ম্মবীর নরপতিতে পরিণত হইয়াছিলেন। মহারাজ অলৰ্ক বহুকাল ন্যায়ানুসারে রাজ্য শাসন করিয়াছিলেন । কিন্তু এত ভোগমুখের মধ্যে থাকিয়াও র্তাহার ভোগ-কামনা দূর হইল না। ইহা শুনিয়া অলর্কের ভ্রাতা ‘সুবাহু’-যিনি বৈরাগ্য-প্ৰযুক্ত বিষয়-বিরাগী হইয়াছিলেন এবং বনে বাস করিতেন, তিনি ভ্ৰাতাকে তত্ত্বজ্ঞান শিখাইবার নিমিত্ত কৌশলে তঁহাকে বনে আনিবার উপায় উদ্ভাবন করিতে লাগিলেন। তিনি অলর্কের রাজ্যলাভের জন্য প্ৰবল শক্তিমান কাশীঅধিপতির সহিত মিলিত হইয়া অলর্কের নিকট দূত প্রেরণ করিলেন।