পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 రి ংশ-পরিচয় । দূতের কথা শুনিয়া অলৰ্ক কাশীরাজকে বলিয়া পাঠাইলেন, “যদি আমার ভ্ৰাতা সুবাহু আসিয়া আমার নিকট প্ৰণয়-সহকারে রাজ্য প্রার্থনা করেন, আমি অত্যন্ত আনন্দের সহিত তাহাকে রাজ্য প্ৰদান করিব, কিন্তু যদি তিনি যুদ্ধ-বিগ্রহের ভয় দেখান, তাহা হইলে আমি বিনা যুদ্ধে তাহাকে সুচ্যগ্ৰ ভূমিও প্ৰদান করিব না ; যেহেতু আমি ক্ষত্ৰিয় বলিয়া বিনাযুদ্ধে পরাজয়-স্বীকার করা আমার পক্ষে মহাপাপ ।” কিন্তু সুবাহু সে কথা শুনিলেন না, তিনি কাশীরাজের সৈন্য-সামন্তদের সহিত মিলিত হইয়া তাহার রাজ্য আক্রমণ ও দুর্গ অবরোধ করিলেন। অলর্কের অনেক সৈন্যসামান্ত মারা গেল । অলৰ্ক দিন দিন ক্ষীণকায় ও ব্যাকুলচিত্ত হইতে লাগিলেন। তখন মদালসার অঙ্গুরীয়কের কথা তাহার মনে পড়িল । তিনি অঙ্গুরীয়কের ভিতরকার শাসনপত্র বাহির করিয়া পাঠ করিয়া দেখিলেন, তাহাতে লিখিত আছে-“সর্বান্তঃকরণে সঙ্গ পরিত্যাগ করিবে। যদি সঙ্গত্যাগে সমর্থ না হও, তাহা হইলে সেই সঙ্গ সাধুগণের সহিত করিবে ; যদি উহা পরিত্যাগ করিতে অসমর্থ হও, তাহা হইলে মুক্তির কামনা করিবে, কেন না। উহাই তাহার ঔষধ।” এই অনুশাসন পাঠ করিয়া অলৰ্ক জ্যেষ্ঠ পুত্রকে রাজ্য প্ৰদান করিয়া আত্মজ্ঞানলাভের জন্য অরণ্যে গমন করিলেন এবং অল্পকালের মধ্যে আত্মসাক্ষাৎকার লাভ করিয়া নির্বাণ প্ৰাপ্ত হইলেন। অলৰ্ক এই যে আত্মজ্ঞানের প্রেরণা লাভ করিয়াছিলেন, ঈহ! ঘে তাহার স্নেহময়ী মাতার নিকট হইতে প্ৰাপ্ত, একথা বলাই বাহুল্য। 云 ج