পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ © gማ-ጝf፭bቑ বুঝিতে পরিবেন-দেবহুতি অধ্যাত্ম বিদ্যায় কত দূর * অগ্রসর হইয়াছিলেন। ত্ৰিতাপের নিবৃত্তি ও পুরুষার্থের বিষয় বিশেষরূপে লিখিত আছে। ইহা ছয় অধ্যায়ে বিভক্ত। প্ৰথম অধ্যায়ে বিষয়-নিরূপণ, দ্বিতীয় অধ্যায়ে প্ৰকৃতির। কাৰ্য্য, তৃতীয় অধ্যায়ে বিষয়-বৈরাগ্য, চতুর্থ অধ্যায়ে বিষয়বিরাগী মুমুক্ষুগণের সম্বন্ধে পিঙ্গলানামী বেশ্য ও কুবরী নামী পক্ষিণীর আখ্যায়িকা, পঞ্চম অধ্যায়ে পাপক্ষয় বর্ণন এবং ষষ্ঠ অধ্যায়ে উল্লিখিত বিষয়সকলের সামান্য অর্থ কথিত হইয়াছে। প্ৰকৃতি ও পুরুষের বিচার-জ্ঞানই সাংখ্যশাস্ত্রের উদ্দেশ্য। ইহা অতি প্ৰাচীন শাস্ত্ৰ। ভগবান কপিলদেব স্বীয় মাতা দেবহুতিকে এই শাস্ত্রের উপদেশ দেন। এই শাস্ত্রের কোন কোন সুত্রের অসদর্থ করিয়া, কোন কোন পণ্ডিত সাংখ্যশাস্ত্রকার মহর্ষি কপিলদেবকে নিরীশ্বরবাদী বলিয়া স্থির করিয়া গিয়াছেন। বস্তুতঃ তাহা নহে। কোন কোন পণ্ডিত বাচস্পতি মিশ্রকৃত তত্ত্ব-কৌমুদী গ্রন্থের “ঈশ্বরাসিদ্ধেঃ” এই সূত্র অবলম্বন করিয়া নাস্তিকমত-পোষক কতকগুলি যুক্তি প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। কিন্তু সাংখ্যপ্ৰবচনভাষ্যকার বিজ্ঞানভিক্ষু নামক পণ্ডিত বলেন, “ঈশ্বরাসিদ্ধেঃ” ইহার অর্থ ঈশ্বর DDDSBD DBDDDD DBBuB BBB DBD S BDDB BBDB BB giBS DDDBD বাক্য ও মনের অগোচর ; সুতরাং যুক্তি দ্বারা সম্যক প্রকারে ঈশ্বর সিদ্ধ করিতে পারা যায় না । ভগবান কপিল দেবের যদি নাস্তিক মত পরিপোষণের তদ্রুপ বাসনা থাকিত, তবে তিনি ঐ সূত্রের পরিবর্ভে “ঈশ্বরাভাবাৎ” অর্থাৎ ঈশ্বরের অভাব এই সুত্ৰই প্রচার করিতেন। পূর্বেই উক্ত হইয়াছে, ত্ৰিতাপের নিবৃত্তিই মানবাত্মার মুখ্য উদ্দেশ্য। দুঃখ অর্থাৎ তাপ তিন প্রকার ; আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক ও আধিদৈবিক। ঐ আধ্যাত্মিক দুঃখ আবার দুই প্ৰকার-শারীরিক ও