পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b之 বংশ-পরিচয় লহনাকে বলিল, “দেখ তুমি দুধ কলা দিয়া ঐ কাল-সাপিনীটুেকু পুষিতেছ কেন ? তুমি প্রৌঢ়া, আর ঐ খুলনা যুবতী, তুমি কি মনে কর তোমার স্বামী খুল্পনা অপেক্ষা তোমাকে অধিক ভালবাসিবে ? অতএব এখন হইতে এমন সমস্ত উপায় উদ্ভাবন করিতে থাক, যাহাতে খুল্লনাকে তাহার স্বামী কখনও দু'চোখ পাড়িয়া দেখিতে না পারে।” দুর্বলার কথাগুলি লহনার প্রাণের অন্তস্তলে এরূপভাবে বিদ্ধ হইল যে, লহনা দুর্বলার অভিপ্ৰায়ানুসারে চলিতে রাজি হইল। দুর্বলার ষড়যন্ত্রে লহনা একখানি জাল চিঠি লেখাইয়া তাহা খুল্লনাকে পড়িয়া শুনাইল । সেই চিঠিতে যেন ধনপতি লহনাকে লিখিতেছেন,-“এখানে পিঞ্জর প্ৰস্তুত করিবার জন্য যে স্বর্ণ আনা হইয়াছিল তাহ ফুরাইয়া গিয়াছে। আরও কিছু স্বর্ণের প্রয়োজন। অতএব খুল্লনার যে সমস্ত স্বর্ণালঙ্কার আছে তাহার নিকট হইতে সেই সমস্ত লইয়া আমার নিকট পঠাইয়া দিবে। খুল্লনাকে ছাগরক্ষায় নিযুক্ত করিবে, সে যেন উদর পুরিয়া ভোজন করিতে না পায়, তাহাকে ছিন্ন বস্ত্র পরিধান করিতে দিবে, টেকিশালায় শয়ন করাইবে, রোগ হইলে তাহাকে ঔষধ-পথ্য দিবে না, তাহার মস্তকের কেশ মুণ্ডন করিয়া দিবে, পান সুপারি তাহাকে খাইতে দিবে না, ব্যঞ্জনে ঘৃত লবণ দিবে না, সে যেন কুকুম কিন্তুরী চুয়া চন্দনাদি কোনও বিলাসদ্রব্য ব্যবহার করিতে না পারে, যে প্রকারে হউক, তাহার যৌবনের শ্ৰী নষ্ট করিয়া দিবে।” খুল্লনা কোন মতেই বিশ্বাস করিতে চাহিল না যে, সেই চিঠি তাহার স্বামীর লিখিত। তখন দুর্বল বলিল, “দেখ তোমার স্বামীর বহু ভৃত্য-কৰ্ম্মচারী ও পরিচারক-পরিচারিকা আছে, বোধ হয়, তাহদের মধ্যে কেহ তাহার আদেশে লিখিয়াছেন। তুমি কি সীতাদেবীর উপাখ্যান শুনা নাই ? সীতাদেবী স্বামীর মনস্তুষ্টির জন্য আগুনে সুপৰ্য্যন্ত প্ৰবেশ করিয়াছিলেন। তুমি কয়েকদিন স্বামীর আজ্ঞামত চল, দেখিবে,