পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

XOR বংশ-পরিচয় । প্রিয়তম দৌহিত্র সিরাজ বাঙ্গালা, বিহার, উড়িষ্যার সিংহাসনে আরোহণ করেন। আলিবন্দি মৃত্যুকালে বলিয়া যান, ইংরাজের দিন দিন ক্ষমতাশালী হইয়৷ উঠিতেছে, যেরূপে পার তাহাদিগকে নিৰ্য্যা ও ন করিবে। মাতামহের সেই উপদেশের বশবৰ্ত্তী হইয়া সিরাজ ইংরাজিদিগের উচ্ছেদ-সাধনে কৃতসংকল্প হইলেন এবং অবিলম্বে কাশিমবাজার-কুঠী আক্রমণ করলেন । নবাব সৈন্যেৰ নিকট ইংরাজ বা শকগণ আত্মসমৰ্পণ করিল। এই সময় "ওয়াটুসন সাহেব কাশিমবাজারের অধ্যক্ষ ছিলেন । কলেট ও বীটসন সাহেব্বদ্বয তাহার সদস্যস্বরূপ অবস্থিতি করতেন। ওয়ারেণ হেষ্টিংস, তাহার অধীন একজন কৰ্ম্মচারীমাত্র ছিলেন। ইংরাজের আত্মসমৰ্পণ করিলে নবাবের সেনানীগণ র্তাহাদিগকে সুচতুর প্রহরা দ্বারা বেষ্টিত করিয়া মুর্শিদাবাদে পঠাইয়া দেন । এই বন্দীদিগের মধ্যে কান্তবাবুর সুপরিচিত হেষ্টিংস সাহেবও কষ্টভোগ করিতে বাধ্য হয়েনি। তথায় কিছুদিন অবস্থানের পর তঁাহারা মুক্তিলাভ করেন। কথিত আছে, মুক্তিলাভের সহিত কান্তবাবুর এক বিশেষ সম্বন্ধ থাকায় তাহার। ভবিষ্যৎ-ভাগ্যোদয়ের সূচনা হইয়াছিল। এইরূপ শুনিতে পাওয়া ষায় যে, ওয়ারেন হেষ্টিংস মুর্শিদাবাদে বন্দী অবস্থায় থাকিতে থাকিতে তথা হইতে পলায়ন করিয়া কাশিমবাজারে উপস্থিত হয়েন । কিন্তু একথা বিশ্বাসযোগ্য কি না তাহ বিচার করিয়া দেখা উচিত। হেষ্টিংস কালিকাপুরের ওলন্দাজ কুঠীর অধ্যক্ষ ভিনেট সাহেবের জামিনে নবাবের নিকট হইতে মুক্তিলাভ করেন। মুক্তিলাভ করিয়া তিনি মুর্শিদাবাদেই অবস্থান করিতে থাকেন। এই সময়ে কলিকাতার অধ্যক্ষ ড়েক ও অন্যান্য ইংরাজগণ কলিকাতা আগমনের পর ফলতায় অবস্থিতি করিতেছিলেন । ওয়ারেন হেষ্টিংস এই সভায় নবাব সরকারের যাবতীয় সংবাদ তাহাদিগকে গোপনে প্রেরণ