পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भश्ॉब्रांछ भौठछ5ल् ननी । SVOY ১৩০৪ সালের ভাদ্র মাসে মহারাণী স্বৰ্ণময়ীর স্বৰ্গগমনে উত্তরাধিকারস্বত্বে মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ কাশিমবাজার রাজ্যের অধিকারী হইয়াছেন। মধ্যবিত্ত গৃহস্থের অবস্থা হইতে একেবারে বিপুল সম্পত্তির অধিকার-লাভ পৃথিবীতে বিরল নহে, কিন্তু চিত্তের সাম্য ও চরিত্ররক্ষ। নিতান্ত বিরল। বাবু মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ এক মুহূর্তে মহারাজা মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ হইলেন ; কিন্তু কিছুমাত্ৰ বিকার নাই, আড়ম্বর নাই, দস্ত, অহঙ্কার, মাৎসৰ্য্য নাই, যেন ঠিক সেই বৃত্তিভোগী মধ্যবিত্ত গৃহস্থই আছেন । তিনি দানে মুক্তহস্ত, পরোপকারে সদাই সমুদ্যত। এত সরল ও নিরীহ যে, একটী শিশু ও নিৰ্ভয়ে তাহার সম্মুখীন হইতে পারে। সম্পদে অপ্ৰমত্ত, ঐশ্বয্যে অনাসক্ত, বিলাস ও ব্যসনে বিরক্ত, মহারাজা মণীন্দ্ৰচন্দ্রের মত চরিত্রবান পুরুষ দুল্লাভ। জাতীয় শিক্ষা ও সাহিত্যের অকপট বন্ধু ; দেশীয় কোনও সদনুষ্ঠানষ্ট তাহার সম্বন্ধবিহীন নহে। মহারাজার সম্বৰ্দ্ধন । ১৩০৪ সালের ভাদ্র মাসে মহারাণী স্বর্ণময়ী সি-আই মহোদয়ার মৃত্যুর পর যখন কাশিমবাজার এষ্টেটের উত্তরাধিকার লাভ করিয়া মহারাজা মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ বেনারস হইতে বহরমপুরে আসেন, তখন তঁাহার সসম্মান অভ্যর্থনার জন্য সমস্ত মুর্শিদাবাদ জেলার এত অধিক জনসঙ্ঘ বহরমপুরে সমবেত হইয়াছিল, যে জীবিত স্মৃতির মধ্যে কেহ এরূপ বহুল জনস্ৰোত বহরমপুরে কখনও দেখেন নাই । মণীন্দ্ৰচন্দ্রও সকলকে তঁাহার স্বাভাবিক নস্ৰ-মধুর আপ্যায়নে প্রীত করিয়াছিলেন। তিনি বহরমপুরে পদাৰ্পণ করিয়াই প্ৰথমে তথাকার অন্যতম জমীদার শ্ৰীযুক্ত বিষ্ণুচরণ সেন মহাশয়ের বাগান-বাড়ীতে উঠেন। তথা হইতে শোভাযাত্ৰা করিয়া রাস্তার দুই ধারে পয়সা ছড়াইতে ছড়াইতে