পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV8 বংশ-পরিচয় । বিদ্যালয়ই ইহার অন্যতম দৃষ্টান্ত।। ৬/পুৱীধামে ও কাশীতে তিনি বেদবিদ্যালয় স্থাপনা করিয়া, দেশের ও দশের কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছিলেন । প্ৰায় ২৫০ জন দরিদ্র অথচ উপযুক্ত ছাত্রের বোর্ডিং খরচ ও পরীক্ষার ফিস মহারাজা মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ প্ৰতি বৎসর সাহায্য করেন । মোট কথা, বিদ্যার্থীকে বিদ্যাদান তাহার জীবনের মহাব্ৰত। সে ব্ৰত উদযাপন জন্য তিনি জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে সাহায্য করেন । মণীন্দ্ৰচন্দ্রের দয়া যে সুধু বিদ্যাদানেই আবদ্ধ আছে তাহা নহে ; ভীতকে অভয়দান, রোগীকে ঔষধদান, ক্ষুধিতকে অন্নদানসবই তিনি যথাসাধ্যা করিয়া থাকেন। কত ধ্বনিসন্তান অবস্থাহীন হইয়া র্তাহার সাহায্যে জীবনধারণ করিয়া ঋণের দায় হইতে মুক্ত হইয়াছেন। যে সকল বুনিয়াদি ঘর ঋণজালে জড়িত হইয়া অকূল পাথারে ভাসিতেছিলেন, মণীন্দ্ৰচন্দ্রের কু পায় তাহারা আজ ও তাহদের সম্মান অক্ষুন্ন রাখিয়া সুখে সংসারযাত্ৰা নিৰ্বাহ করিতেছেন । ফলতঃ কতিপয় বিশিষ্ট জমিদারের অস্তিত্ব যে আজিও আছে তাহার একমাত্র কারণ মহারাজা মণীন্দ্রের ট্ৰাষ্ট্রী হওয়া । বহরমপুরের খ্যাতনামা জমিদারবংশ শ্ৰীবনবিহারী সেন, শ্ৰীবিষ্ণুচরণ সেন, মালদহের মদনগোপাল এষ্টেট, কলিকাতা পশুপতিবাবুর ত্যক্ত এষ্টেট-ইত্যাদি মহারাজার দয়া ও পরামর্শে উপকৃত ७ अष्ट्रश्रृंशैऊ श्शेgङCछ । স্বৰ্গীয় মহারাণী স্বৰ্ণময়ী বহরমপুরে জলের কল স্থাপন করিতে প্ৰতিশ্রুত হইয়া ৪০,০০০ চল্লিশ হাজার টাকা প্ৰদান করিয়া মানবলীলা সম্বরণ করেন। মহারাজা বাহাদুর মুক্তহন্তে ঐ জলের কলের জন্য আরও ২,৪০,০০০২ দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা দান করেন। পূর্বে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে বৎসর বৎসর কলেরা, বসন্ত ইত্যাদি। মহামারী বহরমপুর গোরাবাজার, সয়দাবাদ ইত্যাদি স্থানে অত্যন্ত