পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भिशांgएम्भाव्न-ब्रांचद३भ। SVG ও সাধারণাহিতকর কাৰ্য্যে তিনি প্ৰাণের সহিত যোগদান করিতেন । র্তাহার বিষয়বুদ্ধি অত্যন্ত তীক্ষু ছিল এবং জমিদারীপরিচালনকাৰ্য্যে তাহার অসাধারণ নৈপুণ্যও পরিলক্ষিত হইত। জনসাধারণের নিকটে ও রাজদরবারে বিশ্বেশ্বরের বিশেষ সম্মান ও প্ৰতিপত্তি হইয়াছিল । রাজপ্ৰতিনিধি নৰ্থক্রকের সময় বঙ্গদেশে যে ভীষণ দুৰ্ভিক্ষ উপস্থিত হয়, তাহার প্রশমনকল্পে মাতা হরসুন্দরী ও পুত্ৰ বিশ্বেশ্বর প্রভূতরূপে নানাবিধ সাহায্য করেন। তঁহাদের এই কাৰ্য্যে সন্তুষ্ট হইয়া গবৰ্ণমেণ্ট ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দে হুরসুন্দরীকে “রাণী” এবং বিশ্বেশ্বরকে ‘রাজা” উপাধি দান করেন। ইহার দুই বৎসর পরে ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারী তারিখে মহারাণী ভিক্টোরিয়ার “ভারতেশ্বরী’ উপাধি গ্ৰহণ উপলক্ষ্যে দিল্লী দরবারে ভূতপূৰ্ব বড়লাট লর্ড লিটন হরসুন্দরীকে ‘মহারাণী” এবং বিশ্বেশ্বরকে “রাজা বাহাদুর” উপাধি প্ৰদান করেন। কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় এই যে, এই সময় গৃহবিবাদ আরম্ভ হইল, এবং ইহার অল্পকাল পরেই ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দে ৩৩ বৎসর বয়সে বিসূচিকা রোগে রাজা বাহাদুর বিশ্বেশ্বর লোকান্তরিত হইলেন। তিনি মৃত্যুকালে মাতা, দুই কনিষ্ঠ সহোদর, বিধবা পত্নী, একমাত্র পুত্র প্রমথনাথ, এবং শ্ৰীমতী শরৎকামিনী ও কুমুদকামিনী নামী কন্যাদ্বয় রাখিয়া ՀITo I বিশ্বেশ্বরের মৃত্যুর পর রামেশ্বর ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে সম্পত্তি লইয়া বিবাদ উপস্থিত হয়। এই বিবাদের ফলে এবং মহারাণী ও পুত্ৰদ্বয়ের মধ্যে বিবিধ গোলযোগে ষ্টেটের কাৰ্য্য যথাযথকালে সম্পন্ন না হওয়ায় উহার বিশেষ ক্ষতি হইতে আরম্ভ হয়। অবশেষে এই বিবাদ-নিবৃত্তির জন্য মহারাণী স্বৰ্গীয় গোবিন্দপ্রসাদ-কৃত উইলের মৰ্ম্মনিৰ্দ্ধারণ-মানসে এক মকৰ্দমা উপস্থিত করেন। উহার বিচার ফলে