পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিয়াড়শোল-রাজবংশ। S\ህፃ ১৯০৬ খৃষ্টাব্দে ২৫ শে মার্চ তারিখে তিনি হাওড়া ৬নং কলেন প্লেস ভবনে পরলোক গমন করেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন বলিয়া মৃত্যুর পর তঁাহার বিধবা পত্নী রাণী শ্ৰীমতী ভবসুন্দরী সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হন। কুমার রামেশ্বরও পূর্বোক্ত অন্নদাপ্ৰসাদ জোসী মহাশয়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা শ্ৰীমতী শ্যামাসুন্দরীকে বিবাহ করেন । রামেশ্বর দক্ষিণেশ্বরের মৃত্যুর পর তাহার পত্নী রাণী ভবসুন্দরীর সহিত আপোষে সম্পত্তি বিভাগ করিয়া লাইলেন এবং অতঃপর শিহাড়শোল রাজষ্টেট বিভক্ত হইয়া ১৯০৬ খৃষ্টাব্দে উভয়ের পৃথক অধিকারভুক্ত হইল। রামেশ্বর ভারতের নানাদেশ ও লঙ্কাদ্বীপ পরিভ্রমণ করেন। প্ৰাচীন শিল্পকলায় ও উদ্যানকাৰ্য্যে তঁহার বিশেষ অনুরাগ ছিল। দেশীয় ও বিদেশীয় সরকারী ও বেসরকারী লোকের মধ্যে র্তাহার বিশেষ প্ৰতিপত্তি ছিল । তিনি ২০,০০০ হাজার টাকা ব্যয়ে হাওড়ায় “রামেশ্বর মালিয়া পশুচিকিৎসালয়” স্থাপন করিয়া দেন। এতদ্ব্যতীত পুরীধামের কুষ্ঠাশ্ৰম প্রভৃতি সাধারণাহিতকর কার্য্যগুলি তাহার কীৰ্ত্তিস্বরূপ। তিনি হাওড়ার পিপল্সলস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেণ্ট, হাওড়া মিউনিসিপালিটীর কমিশনার এবং বঙ্গদেশের এসিয়াটিক সোসাইটি নামক সমিতির একজন সভ্য ছিলেন। তিনি গভর্ণমেণ্ট কর্তৃক হাওড়ার অবৈতনিক ম্যাজিষ্ট্রেটপদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। অবশেষে তিনি দুরারোগ্য দুষ্ট ব্রণরোগে আক্রান্ত হইয়া ১৯১২ খৃষ্টাব্দের ৭ই মে তারিখে ৬২ বৎসর বয়সে হাওড়ায় ৭ নং কলেন প্লেস ভবনে ইহলোক ত্যাগ করিয়াছেন। তিনি নিঃসন্তান থাকায় রাণী শ্ৰীমতী হ্যামাসুন্দরী তাহার সম্পত্তির বর্তমান উত্তরাধিকারিণী । রামেশ্বর ও রাণী ভবসুন্দরী ।