পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমান রাজবংশ । বৰ্দ্ধমানের জমিদারী ক্রিয় করিয়া প্ৰকৃতপক্ষে বংশের ভবিষ্যৎ উন্নতি ও প্ৰতিপত্তির বীজ বপন করেন । ইহার পর ঘনশ্যাম রায় ও তৎপুত্র কৃষ্ণরাম রায় আরও কতকগুলি জমিদারী অর্জন করেন । দিল্লীর বাদশাহ আলমগীর কৃষ্ণরাম রায়কে একটা ফরমান দ্বারা সম্মানিত করিয়াছিলেন। ১৬৯৬ খৃষ্টাব্দে চেতুয়া ও বরদার তালুকদার শোভা সিংহ আফগান সর্দার রহিম ধার সাহায্যে কৃষ্ণরাম রায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করেন। এবং তঁাহার জমিদারী আক্ৰমণ করিয়া র্তাহাকে নিহত ও র্তাহার পরিবারবর্গকে অবরুদ্ধ করেন। কিন্তু ক্লষ্ণরামের পুত্র জগৎরাম পলায়ন করিয়া ঢাকায় উপস্থিত হন। তিনি ঢাকার শাসনকৰ্ত্তার নিকট বিদ্রোহীদিগকে দমন করিবার জন্য সৈনিকসাহায্য প্রার্থনা করেন । শোভাসিংহ ক্লষ্ণরাম রায়ের এক সুন্দরী কন্যার ধৰ্ম্মনাশের উপক্ৰম করিলে, সেই সাহসিক কন্যা বস্ত্ৰমধ্যে লুকায়িত ছুরিকা দ্বারা শোভাসিংহকে নিহত করেন। অতঃপর শোভাসিংহের সৈন্যগণ বৰ্দ্ধমান পরিত্যাগ করিয়া হুগলি আক্রমণ ও অবরোধ করেন ; এখান হইতে পরে তাহারা বিতাড়িত হয় । এই সৈন্যদলের অনেকেই হতাহত হইয়াছিল । সুতানুটীতে ইংরাজেরা, চন্দন নগরে ফরাসীরা এবং চুচুড়ায় ওলন্দাজের বিদ্রোহীদিগের প্রভাব দেখিয়া নবাবনাজিমের নিকট এই মৰ্ম্মে আবেদন করেন যে, তাহদের কুঠীগুলিকে সুরক্ষিত করিবার জন্য তঁহাদিগকে আদেশ ও ক্ষমতা দেওয়া হউক । নবাব তাহাদিগের আবেদন গ্রাহা করিয়াছিলেন এবং নবাবের আদেশ অনুসারে তঁাহারা তাহদের কুঠীসকল সুরক্ষিত করিয়াছিলেন। শোভা সিংহের মৃত্যু ও তঁহার সৈন্যগণের ছত্রভঙ্গ হইবার সংবাদ পাইয়া R শোভাসিংহের সহিত যুদ্ধ । শোভাসিংহের মৃত্যু।