পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀեrՀ ‹ጫ-ግfቘb፯ ! নামক গ্রামন্বয়ে পর্তুগীজদিগের গির্জা আছে—তাহদের ব্যবসাও আছে। এইস্থানে মোমের ব্যবসা প্ৰসিদ্ধ।” এই বিবরণ পাঠে বুঝা যায়, তখনও তাম্বুলী (তাম্রলিপ্তি) একেবারে পরিত্যক্ত হয় নাই এবং তথায় একটী পর্তুগীজ গির্জা ছিল। গামেলী কাবেরী ১৬৯৫ খৃষ্টাব্দে ভারতে আসিয়াছিলেন। তিনিও বলিয়াছেন, পর্তুগীজের বাঙ্গালায় তাঙ্গুলীন জয় করিয়াছিল। সিহাব-উদ্দীন-তালিশের ফার্সিতে লিখিত বিবরণে দেখা যায় তাম্রলিপ্তিতে ক্রীতদাসের ব্যবসাও চলিত। সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে বঙ্গদেশ মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত হওয়া হইতে শায়েস্তা খ্যার নবাবী আমলে চট্টগ্রাম বিজয় পৰ্য্যন্ত মগ ও ফিরিঙ্গী বোম্বেটিয়ারা জলপথে বাঙ্গালার নানাস্থানে ডাকাইতি করিত। তাহারা হিন্দু মুসলমান স্ত্রী পুরুষ বালক বালিকা যাহাকে পাইত তাহাকেই ধরিয়া নৌকায় তুলিততাহাদের কর ছিদ্র করিয়া ছিদ্র মধ্যে পিষ্ট বেত্ৰ দিয়া রাখিত ও তাহাদিগকে স্তপোকারে নৌকার পাটাতনের নিম্নে রাখিয়া দিত। প্ৰভাতে ও সন্ধ্যায় মুগ্ধীকে ধান দিবার মত তাহাদিগকে কিছু কিছু চাউল ছড়াইয়া দেওয়া হইত। সময় সময় তাহারা চড়া দরে বিক্রয় করিবার জন্য এই সকল হতভাগ্যকে তমলুকে ও বালেশ্বর বন্দরে আনিত। দর্ঘ্যরা কুল হইতে কিছু দূরে নৌকা বান্ধিয়া সংবাদ দিয়া সহরে নৌকা পাঠাইত। পাছে দস্যরা কুলে নামিয়া ডাকাইতি করে, এই আশঙ্কায়-স্থানীয় কৰ্ম্মচারীরা লোক লইয়া কুলে আসিয়া দাড়াইতেন এবং টাকা দিয়া নৌকায় লোক পঠাইয়া দিতেন। দরে বানিলে দাসু্যরা টাকা লইয়া প্রেরিত লোকের সঙ্গে বন্দী দিগকে পাঠাইয়া দিত। ফিরিঙ্গী দাসু্যরাই বন্দী দিগকে বিক্রয় করিত। সপ্তদশ শতাব্দীতে তিনবার মেদিনীপুরের শান্তিভঙ্গ হইয়াছিল।