পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ brbም বংশ-পরিচয় । করিতে বদ্ধপরিকর হইলেন। তিনি মীরজাফর খাকে মেদিনীপুর ও হিজলীর ফৌজদার নিযুক্ত করিয়া তাহার অধীনে সাত হাজার অশ্বারোহী ও বার হাজার পদাতি স্থাপিত করিলেন। মীরজাফর মেদিনীপুরে উপনীত হইয়া একদল মাৰ্হাট্টা ও আফগানকে পরাভূত করিলেন। তাহারা জলেশ্বরে পলায়ন করিল। কিন্তু জানোজী বহু মাৰ্হাট্ট সৈন্য লইয়া আসিতেছেন—এই সংবাদ পাইয়া জাফর আর অগ্রসর হইতে সাহস পাইলেন না ; পরন্তু বৰ্দ্ধমানে ফিরিয়া আসিলেন। মাৰ্হাট্টার তঁহার পশ্চাদ্ধাবন করিল। পর বৎসর বর্ষাগমে জানোজী মেদিনীপুরে ফিরিয়া শিবির সংস্থাপন করেন। সুতরাং মেদিনীপুর তখন র্তাহার অধিকৃতই ছিল। ১৭৪৯ খৃষ্টাব্দেও তিনি মেদিনীপুরে অবস্থান করিয়াছিলেন । মীর হবিবের অধীনে একদল সৈনিক রাখিয়া তিনি তথা হইতে নাগপুরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন। ১৭৫৫ খৃষ্টাব্দে আলিবর্দী পুনরায় মেদিনীপুরে গমন করেন। মাৰ্হাট্টারা তাহার সহিত আদৌ যুদ্ধ না করিয়া কটকে পলায়ন করে। আলিবর্দী অনায়াসে কংশাবতী নদী পার হইলেন। যাহাতে শক্রিরা ভবিষ্যতে আর এদিকে আসিতে না পারে সেইরূপ ব্যবস্থা করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়া আলিবর্দী সেনা সন্নিবেশ করিয়া মেদিনীপুরেই কিছুদিন থাকিবেন, স্থির করিলেন। তিনি সিরাজদ্দৌলার সেনাদলের নায়ক আলাপ্স্কুলী থাকে মেদিনীপুরের ফৌজদার নিযুক্ত করিলেন। সিরাজদ্দৌলা একজন সৈনিক লইয়া জলেশ্বরে গমন করিলেন এবং তথায় জয়লাভ করিয়া প্ৰত্যাবৃত্ত হইলেন। নারায়ণগড়ে সিরাজের সেনাদিগের সহিত নবাবের সেনাদলের সাক্ষাৎ হইল। সিরাজ স্নেহশীল মাতামহের চরণবন্দন করিলেন। বিজয়ী দৌহিত্রকে পাইয়া নবাবের হৃদয় আনন্দে পূর্ণ হইল। সম্মিলিত সেনাদল মেদিনীপুরেই শিবিরুসন্নিবেশ করিল।