পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাড়া জোলি-রাজবংশ । SSO ইহার পর ইংরাজ-শাসনের আরম্ভ। আজ আমরা ইংরাজ-অধিকৃত বাঙ্গালায় যেরূপ ব্যবস্থা দেখিতে পাই, তখন তাহা ছিল না ; যে ব্যবস্থা ক্রমোন্নতির ফলে পরিবত্তিত হইয়া এখন যন্ত্রবদ্ধবৎ বোধ হয়, তখন সেই ব্যবস্থা কেবল গঠিত হইতেছিল। বিশৃঙ্খলার মধ্যে শৃঙ্খলা সংস্থাপিত করিয়া বণিক ইংরাজি ক্ৰমে শাসক ইংরাজে পরিণত হইতেছিলেন। মুসলমান শাসনের শেষ সময় বাঙ্গালার দুর্দশার কথার উল্লেখ পূর্বেই করা হইয়াছে। আলিবর্দীর শাসনকালে সেই দুৰ্দশার চরমাবস্থা ; তাহার পরই এদেশে ইংরাজের শৃঙ্খলা সংস্থাপনপ্ৰয়াস। সে প্ৰয়াস যে সাফল্যে পরিণতি লাভ করিয়াছে সে জন্য বাঙ্গালী ইংরাজের নিকট চিরকৃতজ্ঞ । মীর কাশেম আলী বাঙ্গালার নবাব নাজিম নিযুক্ত হইয়া ১৭৬০ খৃষ্টাব্দের ২৭শে সেপ্টেম্বর তারিখের সন্ধি অনুসারে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীকে চট্টগ্রাম, বৰ্দ্ধমান ও মেদিনীপুর এই তিনটি জিলা প্ৰদান করেন। এইরূপে ইংরাজ এদেশের শাসনভার লইবারও পূর্বে মেদিনীপুর ইংরাজের হস্তগত হয় ; কিন্তু বৰ্ত্তমান সময়ে মেদিনীপুর জিলা যেরূপে গঠিত তখন সেরূপে গঠিত ছিল না, তখনও মাৰ্হাট্টার উড়িষ্যা অধিকৃত করিয়া আছে। মেদিনীপুরের পটাশপুর পরগণাও তখন তাহাদের অধিকৃত । ইংরাজ-অধিকৃত মেদিনীপুর তিন ভাগে বিভক্ত হয়-হিজলীর ফৌজদারী, চাকলা মেদিনীপুর ও চাকলা জলেশ্বর। তখন হিজলীর ফৌজদারী হুগলীর সংলগ্ন এবং তমলুক জমিদারী ও চারিটি নিমক-মহল সেই ফৌজদারীর অন্তৰ্গত। চাকলা মেদিনীপুরে তখন গোয়ালপাড়া সরকারের কতকাংশ ছিল-ঘাটশিলা প্রভৃতি পরে মেদিনীপুরের অন্তভুক্ত হয়। মেদিনীপুর ও জলেশ্বর চাকলাৰয় তখন একজন কৰ্ম্মচারীর অধীনে