পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नाएgांटछांल-ब्रांछद९भ । Vo) ১৭৩৯ খৃষ্টাব্দে ও পরী-বৎসর ঘাটশিলার নিকটবৰ্ত্তী স্থানের চুয়াড়গণ বিদ্রোহী হইয়া উঠে; কিন্তু মেদিনীপুর আক্রমণ করিতে অক্ষম হয়। অধিকাংশক্ষেত্রেই তাহারা মেদিনীপুরের বাহিরে অত্যাচার করিত ; কিন্তু সিংহভূমি তখন মেদিনীপুরের অন্তর্গত থাকায় তাহাদিগের শাসন জন্য ইংরাজ সরকারকে সেনা পাঠাইতে হইত। এই সব অভিযানে চুয়াড়দিগের তীরে এবং ব্যাধিতে ইংরাজপক্ষের লোকক্ষয়ও যে না হইয়াছিল, এমন নহে। ১৭৯৮ খৃষ্টাব্দেব এপ্রিল মাসে চুয়াড়গণ বিদ্রোহ ঘোযণা করিয়া দুইখানি গ্রাম পুড়াইয়া দিল। পর-মাসে তাহার রায়পুরে রণক্ষেত্রে উপস্থিত হইল। এই বৎসর জুলাই মাসে একজন বাগদী-নায়কের অধীনে ৪ শত দস্য চন্দ্ৰকোণা থানার এলাকায় উপস্থিত হইল । তাহার পর কাশীযোড়া, তমলুক, জলেশ্বর প্রভৃতি পরগণায় প্ৰজার দামুদিগের দারুণ অত্যাচারে বিব্রত হইয়া উঠিল। মেদিনীপুরের পশ্চিমভাগেই অত্যাচার অধিক চলিতে লাগিল। চুয়াড়গণ ক্ৰমে অধিক সাহসী ও দুৰ্দান্ত হইয়া উঠিল এবং ডিসেম্বর মাসে ছয় সাতখানি গ্রাম তাহাদের হস্তগত হইল ; বলরামপুর, রাজগড়, শালবনী সর্বত্রই তাহারা লুণ্ঠনব্যাপারে লিপ্ত হইতে লাগিল। চুয়াড়েরা মেদিনীপুর পরগণাতেও প্ৰবেশ করিল এবং আতঙ্কতাপিত প্ৰজাৱা মাঠের শস্য মাঠে রাখিয়া প্রাণভয়ে কোম্পানীর সিপাহীরক্ষিত মেদিনীপুর, আনন্দপুর প্রভৃতি স্থানে আসিয়া আশ্ৰয় লইতে লাগিল। মেদিনীপুর সহরের সুন্নিকটে তিনটি স্থানে চুয়াড়গণ দেখা দিল-কর্ণগড় সেগুলির অন্যতম । এই কর্ণগড় মেদিনীপুরের রাণীর বাসস্থান। তখন তঁহার জমীদারীর খাস করা খাজনা খাসে আদায় করা হইতেছে। এই সকল কেন্দ্ৰ হইতে চুয়াড়গণ লুণ্ঠনকাৰ্য্যে বাহির হইত এবং ফিরিয়া আসিয়া লুষ্ঠিত দ্রব্যাদি ভাগ