পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98V বংশ-পরিচয় । বিভক্ত হইবে ! অযোধ্যারাম ও র্তাহার মাতা বিবাদের সৃষ্টি করিয়াছেন। মোহনলালের উইলেও দানসম্বন্ধে তাঁহার এক পত্রে দেখা যায়, সম্পত্তি বিভক্ত হওয়াই তাহার অভিপ্রেত ছিল। এ সম্পত্তি মোহনলালের স্বে পার্জিত ; সুতরাং ইহার উত্তরাধিকার-ব্যাপার অন্য কোন বংশের কুলপ্রথানুসারে নিয়ন্ত্রিত হইতে পারে না। সম্পত্তির পূর্বাধিকারীর বংশেও এক জনের উত্তরাধিকার-প্রথা ছিল না। তখন রামমোহন রায় সদর আমিন। তিনি নানা কারণে অযোধ্যারামের মামলা ডিসমিস করিয়া দেন এবং হাকে খরচের দায়ী করেন। বিক্রীত সম্পত্তিতে সরকার কর্তৃক ৩ ভ্ৰাত ৭ বা নামে নামপত্তন করিয়া লাওয়া হয়। সরকারের এই কাৰ্য্যের দ্বারা উইলের সর্ত নষ্ট হয় এবং উভয় পক্ষেই অৰ্দ্ধাংশ হিসাবে সমগ্ৰ জঙ্গলমহল ওয়াটস কোম্পানীর সঙ্গে ইজারা বন্দোবস্ত করেন । ইহার পর অযোধ্যারাম আর সম্পত্তির একমাত্র অধিকারী হইতে পারেন না। অযোধ্যারাম পিতার উইলের নির্দেশ-অনুসারে কাব্য করেন নাই । অপর পক্ষ রাজা মোহনলালের যে পত্র দাখিল করেন, তাহাতে লেখা ছিল, রাজা অযোধ্যারাম ও রাজা রামচন্দ্ৰ প্ৰভৃতি দানের কাৰ্য্য পরিচালিত করবেন। সদর আমিনের এই নিৰ্দ্ধারণের বিরুদ্ধে অযোধ্যারাম। আপীল দায়ের করেন। আপীলে সদর দেওয়ানী আদালত আমীনের রায় বাহাল রাখিতে অস্বীকার করেন। কারণ, সরকারী নিলাম খরিদ মহল প্ৰত্যপণে সম্পত্তি পূর্বাবস্থা প্ৰাপ্ত হয়। সদর দেওয়ানী আদালত এই মোকৰ্দমায় নিম্নলিখিত বিষয়ের বিচার KF (KR ( ১ ) মোহনলাল যে অজিৎ সিংহের সম্পত্তি পাইয়াছিলেন সেই অজিৎ সিংহের পরিবারে উত্তরাধিকারের কোন নিয়ম প্ৰচলিত ?