পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় রাজা রাজেন্দ্রলাল মল্লিক । VSR)) মজিয়াছে। সুতরাং এখন আর ঐ নদীপথে বাণিজ্য চলে না। এখন বর্ষাকালে ছোট ছোট দেশীয় তরণী বড়জোর পঞ্চাশ ষাট মণ পণ্য লইয়া ময়ূরভঞ্জ পৰ্য্যন্ত যাইতে পারে। কিন্তু যখন বিদেশী বণিকেরা আসিয়া এই নদীর সন্নিহিত স্থানে বাণিজ্যাৰ্থ অধিষ্ঠান করিত, তখন এককালে iD DBB BBB BBDBD DDS DDBBDBDB BDB BBDDBDS DDDDD SS BD SDDD সেই সময় মল্লিকবংশের পূর্বপুরুষগণ ঐ নদীতীরে কোন বাণিজ্য-প্রধান নগরে গিয়া বসবাস করিয়াছিলেন । সুবৰ্ণরেখা নদীতীর হইতে ইহারা বাণিজ্য-প্ৰধান প্ৰাচীন সপ্তগ্রামে গমন করেন। পৌরাণিক যুগ হইতে হুগলী নগরীর প্রতিষ্ঠাকাল পৰ্য্যন্ত এই সপ্তগ্রাম বাণিজ্যে বাঙ্গালায় অদ্বিতীয় ছিল । সপগ্রামের প্রাচীন নাম চরিত্রপুর। প্ৰকাশ, গঙ্গা-আনয়নকালে ভগীরথ এইস্থানে বিশ্রাম করিয়াছিলেন। চীন পরিব্রাজক ফাহিয়ান ও হুয়েং সাং এবং গ্ৰীক গ্ৰন্থকার টলেমী এই বন্দরের উল্লেখ করিয়াছিলেন। এককালে এই সপ্তগ্রাম বাঙ্গালার বৈদেশিক বাণিজ্যের বিপুল বন্দর ছিল। ইংরেজ পরিব্রাজক রালফ কিচি বলিয়াছেন যে, সপ্তগ্রামের পণ্যশালায় সর্বপ্রকার পণ্যই পাওয়া যাইত, এইস্থানে অনেক ধনাঢ়। বণিকের বাস ছিল। চোরবাগানের মল্লিকবংশের জনৈক পুরুষ এই বাণিজ্যবহুল বন্দরে আসিয়া বাস করিয়াছিলেন। তাহারা কত পুরুষ তথায় বাস করিয়াছিলেন, তাহা জানা নাই । যখন ষোড়শ শতাব্দীতে স্রোতস্বতী সরস্বতী মজিয়া যাইতে লাগিল, সেই সময় পর্তুগীজেরা গঙ্গাতীরে হুগলী নগরীর প্রতিষ্ঠা করেন। ১৬৭২ খৃষ্টাব্দে হুগলী নগরী ব্ৰাজকীয় বন্দর বলিয়া বিঘোষিত হইয়াছিল ; তখন সমস্ত সরকারী কৰ্ম্মচারী সপ্তগ্রাম হইতে হুগলীতে যাইয়া অধিষ্ঠান করেন। মল্লিকবংশীয় ব্যক্তিরাও সেই সময় সপ্তগ্রাম হইতে হুগলীতে আগমন করেন।