পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় রাজা রাজেন্দ্রলাল মল্লিক । of স্বৰ্গীয় রাজা রাজেন্দ্ৰ মল্লিক মহাশয়ের বয়স যখন ষোড়শবর্ষ মাত্র, তখন তিনি চোরবাগানের ‘মাৰ্ব্বেল প্যালেস’ রচনা করিতে আরান্ত করেন, পাচ বৎসরে উহার নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য শেষ হয়। এই প্ৰাসাদে প্ৰাচ্যস্থাপত্য-কলার প্রকৃষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। ইহাতে বুঝা যায়, উক্ত রাজা বাহাদুর স্থাপত্যবিদ্যায় অসাধারণ বুৎপন্ন ছিলেন। জীববিদ্যা ও কলাবিদ্যায় তাহার যে অনুরাগ ছিল, তাহা স্বাভাবিক। চিত্রবিদ্যায় র্তাহার স্বাভাবিক। আনুরক্তি এমনভাবে প্ৰকাশ পাইয়াছিল যে, অতি অল্প বয়সেই তিনি প্ৰাচ্য ও প্ৰতীচ্য চিত্রকলায় বিশেষজ্ঞ বলিয়া সম্মানিত হইয়াছিলেন । তিনি তঁাহার মৰ্ম্মর প্রাসাদে যে সমস্ত আলেখ্য ও ভাস্করকীৰ্ত্তি সংগৃহীত করিয়াছেন, তাহাই তাহার এই সকল সুকোমল কলাবিদ্যায় যে অসাধারণ স্বাভাবিকী শক্তি ছিল তাহার সাক্ষ্য দিতেছে। চিত্রকলায় পারদর্শিতা মানুষের বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার একটা প্ৰবল নিদর্শন। বুদ্ধির একটা বৈশিষ্ট্য না থাকিলে কেহ ঐ বিষয়ে বিচক্ষণতা লাভ করিতে পারে না। রাজা বাহাদুরের বুদ্ধিবৈশিষ্ট্য যে কেবল চিত্ৰকলা-বিচারে আত্মপ্ৰকাশ করিয়াছিল তাহা নহে, সঙ্গীত বিদ্যাতেও তাহার অসামান্য নৈপুণ্য-প্ৰকাশ পাইত। তিনি নিজে অনেক সুর-রচনা করিয়াছেন এবং বিবিধ রাগরাগিণী-অনুসারে ধৰ্ম্মসঙ্গীত রচনা করিয়া গিয়াছেন। তঁহার রচিত গান এখন সময় সময় র্তাহার চোরবাগানস্থ ঠাকুরবাড়ীতে গীত হইয়া থাকে ; সেই সকল গানে তঁহার অসাধারণ দেবভক্তি এবং রচনা-কৌশল প্ৰকাশ পাইয়াছে । বয়ঃপ্ৰাপ্ত হইলে রাজা বাহাদুর র্তাহার পিতার দান এবং ধৰ্ম্মকাৰ্য্যের বিশেষ উন্নতি সাধন করেন । দরিদ্র-নারায়ণের সেবায় তিনি অধিক পরিমাণে ব্যয় মঞ্জুর করিয়াছিলেন। লোকহিতৈষণার কাৰ্য্যেও প্রচুর