পাতা:বংশ-পরিচয় (প্রথম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ সূৰ্য্যকান্ত । Gł A মোহের অসীম প্রভাব ; এই বিশ্বে অতি অল্প সৌভাগ্যশালী ব্যক্তিই মোহ-মন্দিরার বিচিত্ৰ প্ৰভাব অতিক্রম করিতে সমর্থ হইয়া থাকেন । জীবনের মধ্যম অংশেই উহার প্রভাব গ্ৰীষ্মকালের মধ্যাহ্ন মাৰ্ত্তণ্ডের প্ৰচণ্ড তেজের ন্যায় একান্ত দুঃসহ হইয়া থাকে। সুশিক্ষা, সৎসঙ্গ এবং সর্বোপরি সর্বশক্তিমান পরমেশ্বরের অনুকম্প ব্যতীত তাহ। অতিক্রম করা কাহারও শক্তির আয়ত্ত নহে। প্ৰভূত ঐশ্বৰ্য্যশালী, অভিভাবকবিহীন যুবক সূৰ্য্যকান্ত কিয়াৎকালের জন্য কুসঙ্গের প্রভাবে মোহগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহার ভাবী সৌজন্য, BY DD uDuB BBBDB BDDDBDDD D DDDD BDD DuD BBB অপসারিত করিয়াছিল । একদা যুবক সূৰ্য্যকান্ত সঙ্গিগণে বেষ্টিত হইয়া মুক্তাগাছা প্রাসাদের বৈঠকখানায় কদৰ্য্য আমোদ-প্ৰমোদে মত্ত আছেন, এমন সময়ে বন্ধুবর্গের মধ্যে একজন ব্যঙ্গচ্ছলে বলিয়া উঠিলেন, “গরীব যদি কম্বলে বসে, সে নিতম্ব চুলকায় আর হাসে।” এই ব্যঙ্গোক্তিতে আর কাহারও মনে কোনও রূপ অনুরাগ-বিরাগের সঞ্চার হইল। কিনা আমরা জানি না , কিন্তু ভাবী সৌভাগ্যের বরপুত্র, পূর্ববঙ্গের প্ৰখ্যাত জমিদার মহারাজ সূৰ্য্যকান্তের হৃদয়তন্ত্রীতে তাহা পুনঃ পুনঃ আঘাত করিতে লাগিল। যে নৰ্ম্ম সহচরীগণের মনতুষ্টি সাধনের নিমিত্ত তিনি প্রতি রাত্রিতে প্ৰায় সহস্র মুদ্রা ব্যয় করাকে অর্থের সার্থকতা মনে করিতেন, আজ তাহাদিগের সহবাস নিতান্ত নীরস ও দুঃসহ হইয়া উঠিল। অবিলম্বে, তিনি গম্ভীর ভাবে শয়নের নিমিত্তে আন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন, অপ্রকৃতিস্থ সহচরীগণ ও সবিস্ময়ে ক্ৰমে ক্ৰমে স্ব স্ব স্থানে প্ৰস্থান করিল। বিশ্বস্রষ্টার সৃষ্টিরাজ্যে মানবের স্থান অতি উচ্চে। মানব অন্তঃ