পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R বংশ-পরিচয় । উৎপাত, অধঃপাত এবং সজঘাত, প্ৰতিঘাতের ভিতর দিয়াও বংশীসুলভ নৈতিক উচ্চাদর্শ এবং বিনয় বর্তমান বংশধরগণও অক্ষুঃ রাখিয়াছেন। বস্তুতঃ মহারাজা কুমুদচন্দ্রের ন্যায় চরিত্রবান, বিনয়ী, স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ, সুশিক্ষিত এবং সর্বজনাদৃত, অজাতশত্রু মঙ্কপুরুষের আবির্ভাব এই বংশে সেই দিনও তহঁয়। গিয়াছে। যাহা হউক, এই সময়ের মধ্যে সুসঙ্গের সম্পূর্ণ ইতিহাস দেওয়া সম্ভবপর হইবে না-সুতরাং সংক্ষেপে প্ৰধান প্ৰধান ঘটনা সকল বিবৃত করা হইবে । বৰ্ত্তমান ক্ষেত্রে খ্যাত পুরুষগণের কৰ্ম্মজীবনের কিঞ্চিৎ আভাষ এবং প্ৰধান প্ৰধান দুই একটী ঘটনা বর্ণনা করিয়া ক্ষান্ত হওয়া छं7 ।। খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে কান্যকুব্জ হইতে সোমেশ্বর পাঠক নামক জনৈক তেজস্বী, মহাপ্রতিভাশালী ব্ৰাহ্মণ যুবক কামরূপ তীৰ্থপৰ্য্যটনের পথে গারো পর্বতের ভিতর আসিয়া উপস্থিত হন । বৰ্ত্তমান “ভংবাজারের” এক মাইল পথ উত্তরে সোমেশ্বরীর স্ফটিক-স্বচ্ছতোয়বিধৌত একটী সুবিশাল প্ৰস্তরখণ্ড দেখিতে পাইয়া প্ৰকৃতির নয়নমনোহরণ শোভায় আকৃষ্ট হইয়া সেইস্থানে তপ-জপাদি ক্রিয়া-সম্পাদনে প্ৰবৃত্ত হন । এমন সময়ে কতিপয় ধীবর আসিয়া পাৰ্বত্য গারোদের ভস্তে অশেষবিধ নিৰ্য্যাতনের কাহিনী এই ব্ৰাহ্মণকুমারের নিকট নিবেদন করিয়া আশ্রয় ভিক্ষা করিল। ব্ৰাহ্মণকুমার ইহাদের করুণ কাহিনী শ্ৰবণে বিচলিত হইলেন এবং ধীবরগণকে অভয় প্ৰদান করিয়া কহিলেন (.*', তিনি স্বদেশে ফিরিয়া বহুসংখ্যক লোকজন আনিয়া গারোদিগকে শান্ত করিবেন। বস্তুতঃ কিছুকাল পরই বহুসংখ্যক সাধু সমভিব্যহারে আসিয়া অচিরেই গারো সর্দারকে বশীভূত করিয়া সমগ্ৰ গারো জাতিকে করতলগত করিলেন। সাধুগণের পরামর্শে দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন না করিয়া সুবিস্তীর্ণ গারো গৰ্ব্বত এবং সুবিস্তৃত সমতল ভূমিতে স্বাধীন রাজ্য স্থাপন