পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ས་བ་བྱ་ ংশ পরিচয় । লাগিল। সাহাজী মহাশয় সেই পঞ্চবটী মূলে শেষ শয্যায় উপবেশন -পূর্বক স্থিরভাবে মালা জপ করিতে লাগিলেন। বেলা অনুমান তখন তিনি পরিবারস্থ লোকদিগকে ডাকাইয়া বলিলেন “আর সময় নাই, তোমরা সকলে এখানে এসে এবং আমার মুখে গঙ্গাজল দাও।” ক্ৰমে সকলেই তঁহার মুখে গঙ্গাজল দিতে আরম্ভ করিলে তখনি বিছানায় শয়ন, করিয়া ‘হরিবল, হরিবল”। বলিতে বলিতে নয়ন মুদ্রিত করিয়া চির দিনের মত নিদ্রিত হইলেন। আত্মীয় বন্ধু, শত্ৰু, মিত্ৰ সকলেই উদ্ধবের অভাবে যে কি ক্ষতিগ্ৰন্থ হইলেন, তাহা ভাষায় অব্যক্ত বলিয়াই সকলে নির্বক অবস্থায় ব্যাথিত হৃদয়ে বসিয়া রহিলেন । যথা সময়ে অতি সমারোহের সহিত তঁহার ঔদ্ধ দৈহিক কাৰ্য্য সুসম্পন্ন হইয়া গেল। উদ্ধবের জীবিতাবস্থায় পরিবারস্থ অনেকের মনেই বিষবৃক্ষের বীজ স্থাপন হইয়াছিল, কেবল সুযোগ প্ৰতীক্ষায় অঙ্কুরিত হইতে পারে নাই। পরে পারিবারিক অন্তৰ্ব্বিপ্নব নিবারণে আনন্তোপায় বুঝিয়া কৰ্ত্তারা ঘরবাড়ী জিনিষপত্ৰ বিভাগ করতঃ পৃথকান্ন হইয়া গেলেন, কিন্তু সম্পত্তি ব্যবসায়াদি সমস্ত এজমালীতে রাখিলেন । , উদ্ধাবচন্দ্রের অভাবের পর হইতে সকলের সমবেত যত্নে কিছুদিন এইটের কাজকৰ্ম্ম পূর্ববৎ চলিতেছিল। এখন পুথিকান্ন হওয়াম সেই টুকুরও ক্রমে হ্রাস হইতে আরম্ভ হইল। এষ্টেটের উন্নতির দিকে তঁহাদের চেষ্টা ও বাস্ত্র ক্রমশঃই শিথিল হইয়া আসিতেছিল, এই সময় মধ্যে তেজারতী ব্যবসা অনেক “খৰ্ব্ব হইয়াছে, জমিদারীতেও পূর্বের মত পােচরকমের বাজে আয় छ्द्म् ि। সুতরাং পূর্বের তুলনায় আয় অনেক কমিয়া গিয়াছিল। সাহাজী মহাশয়গণ বৎসরে একবার কাছারীতে যাইতেন, তথায় গিয়া নিজ নিজ সংসারের প্রয়োজনীয় ধান চাউল, টাকাকড়ি ইত্যাদি।