পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদর শীর জমিদার বংশ । ክሆዋ . সহিত কাজ চালাইতে আরম্ভ করিলেন যে তাহা দেখিয়া সকলে চমৎকৃত, হইলেন। আমলা কৰ্ম্মচারিগণ ও প্ৰজাবৃন্দ সকলেই অবস্থানুসারে, নুতন ভাবে গঠিত হইতে আরম্ভ হইল। নীলকণ্ঠবাবু এই অল্প বয়সে বিষয় কাৰ্য্যে এতদূর ক্ষমতা অর্জন করিতে সমর্থ হইবেন ইহা নিতান্তই অচিন্তনীয় ব্যাপার। র্তাহার কাজ কৰ্ম্ম হাবভাব দেখিয়া অনেকেই মনে করিত ইনিও বোধ হয় উদ্ধবের মত কোন দৈবশক্তি প্ৰাপ্ত / হইয়াছেন। উদ্ধবের ন্যায় দৈবশক্তি সম্পন্ন না হইলেও তঁহার ভিতরে যে শক্তি আছে তাহাও কম নহে। তিনি জন্মান্তরের সংস্কার বশে অল্প সময় মধ্যে বিষয় কাৰ্য্যে এতদূর শক্তি অর্জন করিতে সক্ষম হইয়াছেন । তাহা না হইলে তিনি এত রাজনৈতিক কাৰ্য্য কৌশল শিক্ষা না করিয়া কেমন করিয়া এত দক্ষতা লাভ করিলেন ? তাহার কাৰ্য্যের ভেদ নীতি বুঝিয়া উঠা বড়ই দুরূহ ব্যাপার। প্ৰজাদিগের মনে যাহাতে ভয় ভক্তি দুই থাকে, তৎপ্ৰতি তাহার বিশেষ লক্ষ্য ខ្មែe চতুর্দিকে তঁহার এই অসাধারণ দক্ষতা ও প্রতিপত্তির জ্যোতিঃ পরিব্যাপ্ত হইলে লোকে তঁহার বিরুদ্ধে যাইতে ভীত হইতেন। মামলা মোকদ্দমা দাঙ্গা ফৌজদারীতে নীলকণ্ঠ বাবুর বিশেষ রুচি ছিল। তিনি ঐ সব ছাড়িয়া একেবারে চুপ করিয়া বসিয়া থাকিতে পারিতেন না। তখনকার দিনে একটী কথা কাৰ্য্যে বেশ পরিণত হইত ; কথাটী • এই ‘ৰ্যার লাঠী তারই মাটী” অর্থাৎ “জোর যার মুল্লুক তঁর”। নীলকণ্ঠ বাবুর ঐ মহাবাক্য কণ্ঠস্থ ছিল। কোন স্থলে কার সঙ্গে বিবাদ বিসম্বাদ সজঘর্ষণ বাধিলে যে কোন প্রকারেই হউক তঁহাকে পরাস্ত না । করিয়া ছাড়িতেন না। একারণ ষ্টেটের যথেষ্ট টাকা বাজে খরচ হইত, তৎপ্রতি র্তাহার ক্ৰক্ষেপ ছিল না। তিনি অ্যাপন বুদ্ধিতে সব করিতেন, তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, কাহার কোন কথা শুনিতেন না ॥৮