পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

as বংশ পরিচয় । ঘুণাক্ষরে কোথাও প্ৰকাশ না হয়; তদপ্ৰতি বিশেষ সাবধান থাকিবেন।” পোদ্দার মহাশয় অন্ধকারে একাকী জামাতার আদেশ মত টাকা লইয়া বাসায় পৌঁছিয়া গোপনে টাকা সিন্দুকে রাখিয়া দিলেন । শ্বশুরের প্রতি এরূপ আচরণ অল্প সময় মধ্যেই সৰ্ব্বত্র প্রচার হইয়াছিল। তাঁহাতে সকলেই ভয়ে স্তম্ভিত হইল ; শ্বশুরের প্রতি যিনি এরূপ আচরণ করিতে পারেন, তঁহার নিকট আর অন্য কাহার অনুগ্রহের আশা নাই। ইহার পর হইতে স্বজাতি ব্যবসায়ীদিগের মধ্যে আচার বিচারে কাহারও জরিমানার টাকা আদায় করিতে আর বেগ পাইতে হয় নাই। কাহার নামে কোন অভিযোগ উপস্থিত হইলে তিনি পরিমাণ মত একটাতোড়ায় টাকা বান্ধিয়া বাসায় রাখিয়া নীলকণ্ঠ বাবুর সমীপে বিচারার্থে যাইতেন, যেন আবশ্যক হইলে লোক পাঠান মাত্র টাকা লইয়া যাইতে 叶〔颈1 ফৌজদারীতে নীলকণ্ঠ বাবু চির অভ্যস্থ ছিলেন । বহুদিন যাবৎ নানারূপ ফৌজদারী মামলা মোকদ্দমা করিয়া আসিতেছেন, একাল পর্যন্ত ভগবৎ কৃপায় কোনস্থলে অপদস্থ হন নাই বলিয়া দিন দিন তঁহার সাহস বৃদ্ধি হইয়া ক্ৰমে মাত্ৰা অতিক্ৰম করিয়াছে। সেই সময়ে একটী দাঙ্গা করিয়া নীলকণ্ঠ বাবু ফৌজদারীতে আসামী হইলেন। নীলকণ্ঠের অত্যাচার উৎপীড়নে বরিশালের ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব অত্যন্ত বিরক্ত ছিলেন। নীলকণ্ঠকে কোন কায়দায় পাইলে উপযুক্তরূপ শিক্ষা দিবেন, -পূর্ব হইতেই সে যড়যন্ত্র ছিল। এইবার এই মোকদ্দমায় সেই আশা মিটাইবার অভিপ্ৰায়ে মোকদ্দমাটী বিচার জন্য নিজের কাছে রাখিয়া দিলেন। ভাবগতিক দৃষ্টে নীলকণ্ঠ বাবু বুঝিতে পারিলেন, এবার সাহেব আমাকে সহজে ছাড়িবে না। অতএব ইহার একটা প্ৰতিকার করা কীৰ্ত্তব্য বিবেচনায় তিনি অনেক তদ্বির করিলেন, কিন্তু সমস্তই ব্যৰ্থ হইল।