পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V বংশ-পরিচয় । পলায়ন পূর্বক কারামুক্ত হন। পলায়নসময়ে একটী ক্ষুদ্র খালে তাহার নৌকা আটকাইয়া যাওয়ায় রঘুনাথ নৌকাখানি টানিয়া আনেন। তাছাত্রে খালিটী প্ৰশস্ত হয়। তদবদি খালিটীর নাম রঘুখালী হয়। মাধবপুর নামক স্থানে অনুচ্চ পর্বতশিখরে অপূর্ব কারুকাৰ্যখচিত একটী ইষ্টক নিৰ্ম্মিত শিবমন্দির স্থাপন করেন। বিগত ১৩০৪ সনের ভূমিকম্পে সুসঙ্গের নান! প্রকার কীৰ্ত্তি লোপ হওয়ার সঙ্গে এই মন্দিরও ভূমিসাৎ হয়। সুসঙ্গ রাজবাটীর অধিষ্ঠাত্রী দেবী দশভূজা মূৰ্ত্তির সহিত রাজা রঘুর শৌর্য্য ও বীৰ্য্য বিজড়িত। কথিত আছে, যখন তিনি দিল্লীতে ছিলেন তখন বাদশাহ তাহাকে বিক্ৰমপুরের চাদ রায় ও কেদার রায়কে শাসন করিতে নিযুক্ত করেন। রাজ। রঘু কৌশলে স্বীয় বুদ্ধি ও ভুজবলে ইহাদিগকে পরাজিত করিযী। লুষ্ঠিত দ্রব্যের সমস্ত বাদশাহ-দরবারে প্রেরণ করেন, কেবল একটী অষ্টধাতুনিৰ্ম্মিত, দশভূজা মুৰ্ত্তি আপন বাটীতে আনিয়া প্ৰতিষ্ঠা করেন। ১২৯৫ খৃঃ অঃ উক্ত দশভূজা মুর্দি অপহৃত হইলে কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত ভাস্কর যদুপালের আদর্শানুযায়ী অতি রমণীয় সিংহবাহিনী দশভূজ মূৰ্ত্তি রাজবাটীর দুর্গমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। সেই ঘটনার কতিপয় বৎসর পর রাজধানীর কোন সমীপবৰ্ত্তী জঙ্গলভূমির মধ্যে রাস্ত কাটিতে কুলীগণ অপহৃত দশভূজা মূৰ্ত্তি প্ৰাপ্ত হয়। তখন সেই মূৰ্ত্তিকে রাজবাটীতে আনয়ন পূৰ্ব্বক যথাশাস্ত্ৰ বিশোধিত করিয়া পুনঃ প্ৰতিষ্ঠিত করা হয়। নূতন মুষ্ট্ৰিটী সারিকা বণ্টনের সময় রাজা রাজকৃষ্ণ পাইয়াছিলেন। চাদ রায়কে পরাজিত করার পরই রঘুনাথ সম্রাট কর্তৃক “পঞ্চহাজারী।” সম্মানে সম্মানিত হন । রঘুনাথের মৃত্যুর পর তদীয় জ্যেষ্ঠ পুত্র রামনাথ সনন্দ পাওয়ার অভিপ্ৰায়ে দিল্লী গমন করেন। কুমার রামনাথের আরও ছয়টি ভ্রাতা ছিলেন । রাজা রামনাথকে সনন্দ দিয়া বাদশাহ তাহার ছয়টি কনিষ্ঠ