পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tూ বংশ পরিচয় । যে পতিসেবা স্ত্রীজাতির পরম ধৰ্ম্ম, সেই মহাব্ৰিতে সৰ্ব্বদা আত্ম সমর্পণ করিয়াছিলেন, সুতরাং রাজেন্দ্ৰ বাবু তাহার যত্নে সুখেই জীবন কাটাইয়াছেন । সংসারে স্ত্রী সুশিক্ষিতা হইলে বড়ই সুখের কারণ হয়, অতএব স্ত্রীকে স্বামীর শিক্ষা দেওয়া একান্ত কৰ্ত্তব্য মনে করিয়া রাজেন্দ্ৰ বাণু অনেক সময় কাজ কৰ্ম্মের বিষয়ে সহধৰ্ম্মীণীর সহিত নানারূপ পরামর্শ কেরিয়াছেন । রাজেন্দ্ৰ বাবু বড়ই খাইয়ে লোক ছিলেন, তাহার সহধৰ্ম্মিণী নানারূপ নিত্য নূতন খাবার জিনিষাদি স্বামীর ফরমাইস মাত, তৈয়ারী করাইয়া তাহাকে খাইতে দিতেন, এইরূপে অনেক কাল কাটিব । গেল, হঠাৎ রাজেন্দ্ৰবাবু জ্বর ও উদরাময় রোগে ক্ৰমে আক্রান্ত হইয়া শয্যা -শায়ী হইয়া পড়িলেন । নানা দেশের বড় ডাক্তার কবিরাজগণ আনাই । চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হইল ; কিন্তু তিনি নিজে বড়ই স্বাধীনচেত); লোক বলিয়া আহারাদির বড়ই অনিয়ম হাইতি, নিজের ইচ্ছামত না-৫। প্রকার ফরমাইস দিয়া পূৰ্ব্ববৎ আহার করিতে ইচ্ছা করিতেন, কাজেও তাহাই করিতেন, কবিরাজ চিকিৎসকগণ এ বিষয়ে প্ৰতিবাদ করিলে তাহাদিগকে বলিতেন, “মহাশয় । আমি যদি ইচ্ছামত আহারাদি করিতে না পারি, তবে আপনাদের এত অর্থ কেন দেই বলুন দেখি ? এ বুঝি আমার বৈদ্যুদণ্ড, নয় কি ?” ইত্যাদি কারণে চিকিৎসায় ব্যারামের কোন উপশমই হইল না। রাজেন্দ্র বাবুর শরীর ক্রমান্বয়ে কৃশ ও দুর্বল হইয়া ব্যাধি ক্ৰমেই সবল হইয়া দাড়াইল । অবস্থানুসারে আরও বিজ্ঞ চিকিৎসক আসিয়া চিকিৎসা আরম্ভ করিলেন । অনেক দিন পৰ্য্যন্ত জ্বর ও উদরাময় রোগে ভুগিয়া তাহাতেই শোথ পৰ্য্যন্ত উঠিয়াছে। রোগের গতি খারাপ দেখিয়া চিকিৎসকগণ সাবধান হইয়া পথ্যাপাধ্য দিতে বিশেষ নিয়ম নিৰ্দ্ধারণ করিলেন, কিন্তু ঔষধ খাইলেন বটে, রাজেন্দ্ৰ বাবুর পথ্যাদির নিয়ম ঠিক মত চলিল না। তঁহার চিকিৎসা -করিতে গিয়া চিকিৎসকগণের মতবিরুদ্ধে পাথ্যাদির ব্যবস্থায় অর্থাৎ