পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুসঙ্গ-রাজবংশ । a ভ্ৰাতাকে ছয়ট পরগণার জায়গীর দেওয়ার অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিলে রামনাথ বলেন যে, তাহারা নিজেরা আসিয়াই সনন্দ লইয়া যাইবেন : কিন্তু দীৰ্ঘকাল পর স্বদেশে প্ৰত্যাগমন করিয়া দেখেন যে, ভ্ৰাতাগণ সকলেই প্ৰাণত্যাগ করিয়াছেন। কেবলমাত্র তিন ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ বৰ্ত্তমান আছেন। ভ্ৰাতৃগণের মৃত্যুতে নূতন সনন্দ পাওয়ার আশা না থাকায় ধিক্কারস্বরূপ “মতিনাশ৷ ” এই শব্দ স্বীয় নামের শেষে লিখিতেন। রামনাথের পর রামজীবন সম্পত্তির মালিক হন। তিনিও সম্রাটের যথেষ্ট অনুগ্রহভাজন ছিলেন। রাজা রামজীবনের সময় হইতে আগর কাঠের পরিবর্তে রাজস্ব প্ৰচলিত হইল । সুলতান সুজার সময় হইতেই সুসঙ্গের রীতিমত রাজস্ব দেওয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়। রাজা রামজীবন অপুত্ৰক হওয়ায় তদীয় ভ্রাতুষ্পপুত্র রামকৃষ্ণ সম্পত্তির অধিকারী হন। তাহার মৃত্যুর পর রামসিংহ সম্পত্তির অধিকারী হন। তিনি উচ্ছশ্বিল, বিলাসী এবং বুদ্ধিমান ছিলেন। সনন্দ গ্ৰহণাৰ্থ দিল্লীতে গমন করিয়া ঔরঙ্গজেবের নিকট সনন্দ গ্ৰহণ করেন। দিল্লীতে অবস্থানকালে রাজা রামসিংহ অস্ত্ৰচালন-কৌশলে বাদশাহকে সন্তুষ্ট করিয়া ৭০০ মনশবদারী ও ৩০০ সওয়ারের অধিকার প্রাপ্ত হন। কিছুকাল দিল্লীতে থাকার পর রামসিংহের স্বাধীন হওয়ার বাসনা বলবতী হয় এবং রাজকাৰ্য্য ত্যাগ করিয়া রাজধানী দুৰ্গাপুরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন । দুর্গাপুরে দিল্লীর অনুকরণ করিয়া একটি ক্ষুদ্র দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করালেন এবং কয়েকটী কামান স্থাপন করিলেন। এমন কি, সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণার দুঃস্বপ্নরূপ আকাশকুসুম দেখিলেন, কিন্তু সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ভ্ৰম বুঝিতে পারিয়া অচিরেই তিনি আত্মসমৰ্পণ করিয়াছিলেন। ফলে মুর্শিদকুলী খাঁ কর্তৃক বলপূর্বক মুসলমানধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন এবং এক ওমরাহের কন্যার সহিত পরিণয়ও হয় । বাদশাহের আদেশে তিনি