পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS ংশ পরিচয় । অপারেশন ঘর উঠাইয়া পাকা ভিত্তি করাইয়া তৎসংলগ্ন দক্ষিণে পানীয় জলের অভাব হেতু একটী পুষ্করিণী কাটাইয়া যথারীতি পাক ঘাট প্ৰস্তুত করতঃ ১৩১০ সনে মাতা “জয় কিশোরী দাতব্য চিকিৎসালয়” নামে এক দাতব্য চিকিৎসালয় খুলিয়া উপযুক্ত এম, বি. ডাক্তার রাখিয়া সাধারণের চিকিৎসার বিশেষ সুবিধা করিয়া দিয়া জীবনের একটা মহৎ উদ্দেশ্য সাধন করিলেন। মহিম বাবুর ইঙ্গিত মতে সকালে যাহাতে ঐ স্তানে সাধারণ বাজার বসে, তদ্বিধান করিতে আদেশ দিলেন । জ্ঞাত কারণ ডাক্তার বাবু সাধারণ রোগীদের মধ্যে একথা ঘোষণা করিলে পর অবিলম্বে তাগায় ‘ডাক্তারের বাজার” বলিয়া এক দৈনিক বাজারের সৃষ্টি হয় । আজকাল সেই বাজারে কয়েক জন মুদী স্থায়ী দোকান পাশার করায় বাজারের বিশেষ উন্নতি হইয়াছে । মহিম বাবুর বাড়ীতে বেতনভোগী করিরাজ এবং দাতব্য চিকিৎসালয়ের ডাক্তার এম, বি থাকায় উভয় প্রকারেই সাধারণের বিশেষ সুবিধা হইয়াছে । মহিম বাবু সরল প্ৰকৃতির লোক ছিলেন । তঁহার হৃদয় যেরূপ নিৰ্ম্মল ছিল, সকলকেই তিনি সেইরূপ মনে করিতেন, কিন্তু স্বার্থপর জগতে লোকের প্রকৃতি সেরূপ নহে, সরল বিশ্বাসের কাৰ্য্যে পরিণামে অনুতাপ ভোগ করিতে হয়, মহিম বাবু জীবদ্দশায় সরল বিশ্বাসে অনেক কাৰ্য্য করিয়া বারবার ক্ষতিগ্ৰস্ত হইয়া অনুতপ্ত হইয়াছেন । তজ্জন্য পরে জেদের বশবৰ্ত্তী হইয়। বহু অর্থ ব্যয় করিয়া মামলা মোকদ্দমা করিয়া প্ৰবঞ্চকদিগের সমুচিত দণ্ড দেওয়াইয়াছেন । মহিম বাবু বড়ই সৌখিন লোক ছিলেন, তাহার পাখী পালিবার বড় একটা সখা ছিল ; তিনি বহু দামী পাখী আনিয়া পুষিয়াছেন। ইহা ভিন্ন তঁহার গরু, ঘোড়ার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি ছিল। নানাস্তান হইতে ভাল ভাল গাভী, ঘোড়া আনাইয়া তিনি পুষিতেন। মহিম বাবুর গোধনের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য ও ভক্তি ছিল । এমন কি যে মহিম বাবু