পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YNo o বংশ পরিচয় আশা মাত। মহিম বাবু পূরণ করিয়া যাইতে পারেন নাই, তাই আজি পতিপরায়ণ স্ত্রী শিবসুন্দরী চৌধুরাণী করিবেন বলিয়া সঙ্কল্প করিয়া পুত্ৰ মহেন্দ্ৰ বাবুর সহিত পরামর্শ করিলেন । মহেন্দ্র বাবু মাতার বাচনিক তঁাতার স্বৰ্গীয় পিতার শেষ জীবনের আশা ‘মাতৃ-শ্মশানে, মঠ দেওয়৷” এই কথা শুনিবা মাত্র একবাক্যে সম্মতি প্ৰদান করিলেন, এবং বলিলেন, এমন সৎকাৰ্য্য যাহাতে সত্বর হয় তাহাই কৰ্ত্তব্য { তদনুসারে ৬ জয় কিশোরী চৌধুরাণীর শ্মশানে অতু্যচ্চ একটা মঠ প্ৰস্তুত করাইয়াছেন; অত বড় মঠ ফরিদপুব জিলায় আর আছে। কিনা শুনা যায় না | মঠটা দেখিতে যেমন সুন্দর, তেমনই উচ্চ, ১৩১৯ সনে এই মঠ প্ৰস্তুত হইয়াছে, মঠ নিৰ্ম্মানের ব্যয় ৮ হাজার মহেন্দ্ৰ বাবু কন্যা দুইটাকে উপযুক্ত সময়ে যোগ্য ঘরে বিবাহ দিয়াছিলেন । ভাগ্যক্রমে কন্যা দুইটা অকালে কালগ্ৰাসে পতিত হওয়ায় শ্ৰীহাদিগকে জীবনে বড়ই কষ্ট ও দারুণ শোক পাইতে হইয়াছে । বড় কন্যা প্ৰিয়বালার একটা পুত্র ও একটা কন্যা আছে এবং ছোট কন্য* স্বৰ্ণবালার একটা পুত্ৰ আছে। জামাতাদ্বয় পরে দারপরিগ্ৰহ করিয়া সংসার করিতেছেন । মাতা শিবসুন্দরী চৌধুরাণী বৰ্ত্তমানে সৰ্ব্ব বিধ কাজ কৰ্ম্ম মহেন্দ বাবুকে দেখিয়া শুনিয়া করিতে হয় । স্বৰ্গীয় পিতা দেশের স্বাস্থ্যের উন্নতিকল্পে এক দাতব্য চিকিৎসালয় পুলিয়া দেশের এক মহৎ উপকার করিয়াছেন। মহেন্দ্ৰ বাবু দেশের শিক্ষা বিষয়ে উন্নতিকল্পে এক উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য উদ্যোগী হইলেন । মহেন্দ্ৰ বাবুর এই মত শুনিয়া সকলেই বিশেষ উৎসাহী হইলেন এবং মাতা শিবসুন্দরী চৌধুরাণীর নিকট এই প্ৰস্তাব প্ৰকাশ করিলে তিনি ইহা অনু মোদন করিলেন । তদপর ক্রুমে চেষ্টা করিয়া ১৩২০ সনের পৌষমাসে