পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদরাশীর জমিদার বংশ > ○), নিজের বাড়ীর অনতিদূরে পাকা পোক্ত সুন্দর ঘর উঠাইয়া ‘‘শিবসুন্দরী একাডেমী” নামে এক বিদ্যালয় খুলিলেন । তদনন্তর দূরবর্তী স্থানের ছেলেদের থাকিবার উপযুক্ত কয়েকখানা ঘর উক্ত প্রকারে পাকা পোক্তা করিয়া ‘জয়কিশোরী দাতব্য চিকিৎসালয়ের” উত্তরদিকে তৎসংলগ্ন স্থানে একটা বোর্ডিং করিয়া দিলেন । হেড মাষ্টার বাবুর থাকার উপযুক্ত এক বাসা বাড়ী প্ৰস্তুত অভিপ্ৰায়ে, ডাক্তার বাবর বাসার নিকটে ডাক্তারখানার পুষ্করিণীর পূব্ব পাহাড়ীতে স্থান নিৰ্দেশ করতঃ হেড মাষ্টারের সপরিবারে থাকার উপযুক্ত এক বাসাবাড়ু নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছেন । এই স্কুলটি হওয়ায় দেশীয় সৰ্ব্বসাধারণের এক মহোপকার হইয়াছে। অনেক গরীব দুঃখীর ছেলেও বাড়ার ভাত খাইয়া ম্যাটিকুলেশন পাশ করিতেছে ও করবে। এই স্কুল বোর্ডিং প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ কল্পে অনেক টাকা ব্যয় হইয়াছে . এই স্কুলের ছাত্রদিগের উৎসাহ বদ্ধনাথে। ৮০ টাকার একটা বৃত্তি নিদাগরণ করিয়া দিয়াছেন । এই স্কুলের ছাত্ৰমধ্যে যে ছাত্র এই স্কুলের শেষ পরীক্ষায় প্রথম হইবে সেই ছেলে এই বৃত্তি প্ৰাপ্ত হইবে । এই সূলটা স্থাপন করিয়া বাবু মহেন্দ্ৰ নারায়ণ রায় চৌধুরী মহাশয় পরোপক। ব্রতা ও উদারতার পরিচয় দিয়াছেন । শিবসুন্দরী ১৩২২ সনে বৈশাখ মাসে কলিকাতা মহানগরীতে ৮/গঙ্গা প্রাপ্ত হইলেন । মহেন্দ্র বাবু মাতার সঙ্গে কলিকাতাতেই ছিলেন, তিনি যথাবিহিত মাতৃদেবীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করিয়া কলিকাতায় গঙ্গাতীরে মাতৃ দেবীর ঔদ্ধ দৈহিক কাৰ্য্য যথাকালে সমাপন করিলেন । বাবু মহেন্দ্ৰ নারায়ণ রায় চৌধুরী মহাশয় নিৰ্ম্মল চরিত্রের লোক । তিনি বিবাদ বিসংবাদ মোটেই পছন্দ করেন না, সর্বদা শান্তিভাবে থাকিতে ভালবাসেন । পৈতৃক বাৰ্ষিক ক্রিয়া কৰ্ম্ম অতি যত্ন সহকারে । পূৰ্ববং নিয়মে চালাইয়া আসিতেছেন। দেব দ্বিজে ভক্তি, ক্রিয়া কৰ্ম্মে