পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> &3ᏍᏔo বংশ পরিচয় টাকা ব্যয় হইয়াছিল। ঐ কাৰ্য্যের পর ভগবান কৃপায় রমেশ বাবুর স্ত্রীর সন্তান সম্ভাবনা হইয়া ১৩২৭ সনে অগ্রহায়ণ মাসে একটা পুত্ৰসস্তান জন্মিয়াছে । এই ছেলের অন্নারস্তে ও নামকরনে বি“ে”স্ আমোদ উৎসব করিয়াছেন, এই ছেলের নাম রামচন্দ্র রায় চৌধুরী ; মাতা পরলোক গমন করার পর দেশের উন্নতিকল্পে রমেশবাব অতি মহৎ কয়েকটী কাৰ্য্য করিয়াছেন । ফরিদপুর জেলায় কোন কলেজ না পাকাতে উচ্চ শিক্ষা সম্বন্ধে সাধারণের বড়ই অসুবিধা ছিল । এই অভাব দূর করার মানসে দেশ হিতৈষী স্বনামধন্য পুরুনি মহাত্মা অম্বিকাচরণ মজুমদার মহাশয় উদ্যোগী হইয়। এই কানো প্ৰবৃত্ত্বি হন । রমেশবাব এই কলেজের জন্য এক কালীন ৫০ ০০ ০ পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করেন এবং তঁহার স্বগীয় পিতা রাজেন্দ্র বাবার নামে এই কলেজ হইবে বলিয়া অম্বিকাবাবুর নিকট প্রস্তাব করেন । বৰ্ত্তমানে ফরিদপুরের কলেজ “রাজেন্দ্ৰ কলেজ” বলিয়া পরিচিত । ইহা বাতিত বরিশাল জিলার সংস্কৃত চতুস্পাঠি বিদ্যালয়ের জন্য এককালীন ৪ ০০ ০০ চল্লিশ হাজার টাকা ও পটুয়াখালী জলের কালের জন্য ৭ ০০০ সাত হাজার টাকা একাকালীন দান করিয়াছেন। ঐ চতুষ্পাঠীর নাম তাহার স্বৰ্গীয়া জননী কামিনীসুন্দরী চৌধুরাণীর নামানুসাবে “কামিনীসুন্দরী চতুষ্পাঠী” রাখা হইয়াছে। ঐ চতুষ্পাঠীর ব্যয়ভার বহুন জন্য তিনি মাসিক ৫০০ টাকা করিয়া দিয়া থাকেন। নুরুন্যাগঞ্জ নামক গ্রামে জলাভাব হেতু একটা প্ৰকাণ্ড পুষ্করিণী কাটাইয়া জল কষ্ট নিবারণ করিয়াছেন, এই জলাশয় স্বগীয় মাত কামিনীসুন্দরী চৌধুরাণীর নামে উৎসর্গ করিয়াছেন এবং পিতা মাতার শ্মশানে সুদৃশ্য দুইটী স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ মঠ সংস্থাপন করিয়াছেন। মঠ দুইটী দেখিতে বড়ই সুন্দর { বৰ্ত্তমানে বৈবক্লিক কাৰ্য্যে রমেশবাবুর বেশ জ্ঞান জন্মিয়াছে, ষ্টেটের কার্য্য বিশেষভাবে যত্নসহকারে দক্ষতার সহিত চালাইতেছেন। স্বীয় পৈতৃক